সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলে গেল পূর্বাভাস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখেই জাপানে ভোটে জিতল শাসকদল লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)। ফলে নিজের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida)।
[আরও পড়ুন: বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন তালিবানের! তবে শর্তাবলী প্রযোজ্য]
২০২০ সালে শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর থেকেই জাপানে দেখা দেয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। তাঁর জায়গায় প্রধানমন্ত্রী হন ইয়োশিহিদে সুগা। কিন্তু পূর্বসূরি আবের মতো জনপ্রিয় ছিলেন না সুগা। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তোলে করোনা মহামারী। ফলে বছর খানেকের মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে ফুমিও কিশিদাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসায় তাঁর দল। তারপরই নির্বাচনের ডাক দেন কিশিদা। এরপর পার্লামেন্ট তথা ‘ন্যাশনাল ডায়েট’-এর নিম্নকক্ষের জন্য রবিবার ভোট দেন জাপানবাসী। আগামী বছর সংসদের উচ্চকক্ষের জন্য ভোট গ্রহণ হবে।
ভোটের ফল প্রকাশে দেখা গেল, জিতেছে কিশিদার দল এলডিপি-ই। চূড়ান্ত ফল-এলডিপি ও জোট নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসনের মধ্যে ২৯৩-তেই জিতেছে। এর মধ্যে আবার এলডিপি একাই পেয়েছে ২৬১টি আসন। করোনা আবহে জনতার অসন্তোষের মোকাবিলা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে শাসকদল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে শিনজো আবে জাপ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসেন। তাঁর স্থানে আসেন ইয়োশিহিদে সুগা। তবে তিনি পূর্বসূরির মতো জনপ্রিয় ছিলেন না। তখন তাঁকে সরিয়ে কিশিদাকে প্রধানমন্ত্রিত্বে আনা হয়। ৬৪ বছরের কিশিদা মহামারীতে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কয়েক হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তবে তাতেও দেশের সাধারণ মানুষ খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। জনমত সমীক্ষায় ধরা পড়ছিল এলডিপি-র জনপ্রিয়তা হারানোর ছবিটা। তাই আশঙ্কা ছিল, বেশ কিছু আসন হারাতে পারে কিশিদার দল। কিন্তু কিছুটা জনপ্রিয়তা হারালেও ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে শাসকদল।