সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে। নির্বাচনী ইস্তাহারে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপির হাতে যেন নয়া অস্ত্র তুলে দিয়েছে কংগ্রেস। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সেই অস্ত্র কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে চাইছেন না। উপরন্তু নয়া এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’কে সম্ভাব্য সবরকমভাবে ব্যবহার করতে চাইছেন মোদি। সেটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বুধবারের ভোটপ্রচারে।
সুরটা মঙ্গলবারই বেঁধে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, “কংগ্রেস (Congress) ঠিক করে নিয়েছে তাঁরা বজরংবলিকেও বন্দি করে রাখবে। এতদিন জানতাম ওদের সমস্যা শুধু প্রভু রামকে নিয়ে। এখন দেখছি, যারা জয় বজরংবলি বলে তাঁদেরও সহ্য করতে পারছে না। বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।” আর বুধবার সুর আরও খানিকটা চড়িয়ে দিলেন তিনি। বুধবারের একাধিক জনসভা মোদি শুরু করলেন ‘জয় বজরংবলি’ স্লোগান দিয়ে। আর মোদির সঙ্গে সুর মেলাল উপস্থিত জনতাও। এদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন,”যখন ভোট দেবেন জয় বজরংবলি বলে ওদের শাস্তি দিন।”
[আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি, আমফানের স্মৃতি ফেরাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’?]
মোদির অভিযোগ, কংগ্রেসে এখন গালিগালাজের সংস্কৃতি চলছে। এই ‘গালি কালচার’ থেকে কর্ণাটককে মুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,”কর্ণাটকের কেউ কি এই গালিগালাজ মেনে নেবে? কেউ কি কাউকে গালি দেওয়া সমর্থন করে? একজন ছোট ব্যক্তিকে অপমান করাটাও কি সমর্থন করা যায়? আপনারা কী চান? ওদের শাস্তি দিতে চান? তাহলে ভোট দেওয়ার সময় জয় বজরংবলি আওয়াজ তুলে ওদের শাস্তি দিন।”
[আরও পড়ুন: বিয়ে করছেন সানি দেওলপুত্র করণ, জানেন পাত্রী কে?]
বস্তুত কর্ণাটক নির্বাচনে (Karnataka Elections) এতদিন মূল ইস্যু ছিল দুর্নীতি। কিন্তু কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর নরেন্দ্র মোদি মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন ভোটের অভিমুখ ঘুরিয়ে ফের হিন্দুত্ববাদকে ইস্যু হিসাবে তুলে ধরার। আর মোদি যদি সেটা করতে পারেন, তাহলে কর্ণাটকেও শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরে যেতে পারে।