সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি হলেন সেই গৃহবধূ, যিনি রুটি বানান কম কিন্তু চুড়ির শব্দ করেন বেশি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে এই মন্তব্যই করলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মোদিজি হল সেই গৃহবধূর মতো যিনি রুটি বানান কম কিন্তু চুড়ির শব্দ করেন বেশি। যাতে তাঁর প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন তিনি কাজ করছেন। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে।”
এর পাশাপাশি মোদিকে তিনি মিথ্যেবাদী ও বিভেদকামীদের প্রধান এবং আম্বানি ও আদানির বিজনেস ম্যানেজার বলেও অভিহিত করেন। সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের বিভেদকামীদের প্রধান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনেন কংগ্রেস নেতা সিধু।
[আরও পড়ুন- প্রয়াত আইটিসি চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র দেবেশ্বর, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
শুক্রবার ইন্দোরে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে বিজেপিকে কালো ইংরেজ বলে কটাক্ষ করেন সিধু। বলেন, “কংগ্রেসই হল সেই দল যে ভারতকে স্বাধীনতা দিয়েছিল। এটা মৌলানা আজাদ ও মহাত্মা গান্ধীর দল। তাঁরা সাদা লোকদের থেকে আমাদের স্বাধীন করেছিলেন। তেমনি ইন্দোরের মানুষ কালো ইংরেজদের থেকে আমাদের দেশকে স্বাধীন করবেন।”
[আরও পড়ুন- মর্মান্তিক, মায়ের চোখের সামনেই শিশুকে ছিঁড়ে খেল রাস্তার কুকুররা]
রাহুল গান্ধীর মতোই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্কে বসারও চ্যালেঞ্জ জানান পাঞ্জাবের এই মন্ত্রী। বলেন, “আমি একজন শিখ এবং আমি আপনার সঙ্গে জিএসটি, বছরে দু’কোটি চাকরি, কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে চাই। এই বিষয়গুলিতে আপনার সঙ্গে বিতর্ক করতে চাই। আর এতে যদি পরাজয় হয় তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব আমি।”
পাঁচ বছরের শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক সংস্থাকে ধ্বংস করেছেন বলেও অভিযোগ করেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। বলেন, “আপনি সিবিআইকে পুতুল বানিয়েছেন। সু্প্রিম কোর্টের বিচারপতিরা রাস্তায় নেমে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। আপনার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘মোদিজি কী সেনা’। সেনাবাহিনী সত্যিকারের যুদ্ধের জন্য নির্বাচনে লড়াই করার জন্য নয়।”
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাফালে চুক্তি নিয়ে আক্রমণ করেন সিধু। অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “রাফালে চুক্তিতে অনিল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে টাকা কামিয়েছেন মোদি। আর এখন শহিদ জওয়ানদের লাশ নিয়ে রাজনীতি করছেন। আসলে তিনি হলেন দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক।” এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ফের তাঁকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
The post ‘মোদি সেই গৃহবধূ, যিনি রুটি ভাজেন কম চুড়ির শব্দ করেন বেশি’, তীব্র কটাক্ষ সিধুর appeared first on Sangbad Pratidin.