সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানি ইস্যুতে এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন বিজেপিরই টিকিটে সাংসদ হওয়া সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বলছেন, স্বচ্ছ্বতার স্বার্থে আদানিদের সব সম্পত্তি সরকারের অধিগ্রহণ করা উচিত। তারপর সেটা নিলামে তুলে বেচে দিক মোদি সরকার।
মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর সব সংস্থার শেয়ারেরই টালমাটাল পরিস্থিতি। আদানিদের (Adani Group) সর্ববৃহৎ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ তো বটেই, সেই সঙ্গে বাকিগুলির অবস্থাও তথৈবচ। সংকট এতটাই যে একসময়ের বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি আদানি এখন ধনীদের তালিকায় প্রথম কুড়িজনের মধ্যেও নেই। আদানিদের এই ধসে কোটি কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও।
[আরও পড়ুন: হাঁটলেন দেড় হাজার কিমি, শিশু নিগ্রহ ও বাল্য বিবাহ রোধে দিল্লি পাড়ি খানাকুলের ‘গোলাপসু্ন্দরী’র]
আদানি গোষ্ঠীর উপর সংকটের আঁচ পড়ে গিয়েছে সংসদেও। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি মদতে অবৈধভাবে রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠেছিল আদানি গোষ্ঠী। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সেই বেলুন ফাটিয়ে দিয়েছে। যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলেও দাবি বিরোধীদের। আদানি (Gautam Adani) ইস্যুতে মঙ্গলবার সংসদে রীতিমতো ঝড় তুলে দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একের পর এক প্রশ্নবাণে মোদিকে জর্জরিত করেন রাহুল। একপ্রকার কৈফিয়তের সুরে রাহুল জানতে চান, প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরই কেন আদানি সব দেশে গিয়ে ব্যবসার বরাত পান? বস্তুত আদানি ইস্যুতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘লালচকে তেরঙ্গা উড়িয়ে… কে মায়ের দুধ খেয়েছে’, ‘ভারত জোড়ো’ নিয়ে রাহুলকে পালটা মোদির]
এই পরিস্থিতিতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) বলছেন, বিজেপির উচিত আদানিদের সব সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা। নিলামে সেই সব সম্পত্তি বেচে দিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া। স্বামীর যুক্তি, এই ইস্যুতে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। বিজেপির স্বচ্ছতার জন্যই এটা করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। একই সঙ্গে কংগ্রেসকেও অবশ্য তুলোধোনা করেছেন স্বামী। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস এমন ভাব করছে যেন, তাঁদের সঙ্গে আদানির কোনও যোগাযোগ নেই। তবে আমি কংগ্রেস নিয়ে তেমন চিন্তিত নই। মানুষের ধারণা হয়েছে, মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে আদানির কোনও যোগাযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু আড়াল করছেন। সেটা ভেঙে দেওয়া উচিত।