সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিয়া থেকে সুদান। ইথিওপিয়া থেকে ইউক্রেন। যুদ্ধের আগুন জ্বলছে প্রায় সর্বত্রই। এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বশান্তির বার্তা দিয়ে হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষমূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জাপান পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আজ শনিবার হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করে মাল্যদান করেন তিনি। আণবিক অভিশাপগ্রস্ত ওই শহর থেকে বর্তমান যুগে মহাত্মার বাণীর প্রাসঙ্গিকতা যে কতটা তা স্পষ্ট করেন নমো। এদিন তিনি বলেন, “হিরোশিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী যেন আতঙ্কিত হয়ে উঠে। এই শহরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন বিশেষ বার্তাবহ। আজ বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি জোগাচ্ছে মহাত্মার শান্তি, অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের বাণী।”
[আরও পড়ুন: দিল্লি দরবার কার? আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সুপ্রিম নির্দেশ উড়িয়ে অধ্যাদেশ মোদি সরকারের]
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিশাপ আজও বহন করে চলেছে হিরোশিমা। ৮ আগস্ট, ১৯৪৫ ওই শহরে বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা ফেলে আমেরিকা। ইন্দ্রের বজ্রের সমতুল্য ওই অস্ত্রের প্রহারে মুহূর্তে প্রায় শ্মশানে পরিণত হয় হিরোশিমা। মৃত্যু হয় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের। তবে এখানেই শেষ নয়, কয়েক দশক পরেও তেজস্ক্রিয়তার ছাপ রয়ে গিয়েছে সেখানে।
এদিকে, আজ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আজ সকানে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে খুবই সদর্থক বৈঠক হয়েছে। ভারত ও জাপানের দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক খতিয়ে দেখেছি আমরা। একই সঙ্গে, ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ও জাপানের জি-৭ প্রেসিডেন্সি নিয়ে আলোচনা হয়।”
প্রসঙ্গত, জি-৭ সম্মেলনে এটাই মোদির চতুর্থবার যোগদান। গত বছর জার্মানির বাভারিয়ায় তিনি গিয়েছিলেন। এর আগে ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে সেবারের সম্মেলন ছিল ভারচুয়ালি। তারও আগে ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে প্রথমবার তিনি যোগদান করেছিলেন। ২০২০ সালের সম্মেলনটি বাতিল হয়েছিল করোনা আবহে।