সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ মা’কে হারিয়েছে। কেউ বাবাকে। কারও আবার মা-বাবা দু’জনেই মহামারীর বলি হয়েছেন। কোভিডকালে (COVID-19) মা-বাবা হারানো সেইসব পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এবার নিজের হাতে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ্য অভিভাবকের মতোই পড়ুয়াদের বললেন, জানি তোমাদের জীবনের শূন্যতা কোনওদিন পূরণ হবে না। কিন্তু মনে রেখো এই লড়াইয়ে তোমরা একা নও। গোটা দেশ তোমাদের সঙ্গে আছে।
কোভিডকালে মা-বাবা হারানো পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে PM-CARES তহবিল থেকে অর্থ সাহায্যের কথা আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, শিশুদের জন্য পিএমকেয়ার্স তহবিল থেকে যে বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটা আমাদের আগামী প্রজন্মের সোনালি ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করবে। মোদির নিজের হাতে লেখা চিঠি পৌঁছে গিয়েছে ৪ হাজার শিশু-কিশোরের কাছে। যাতে তিনি লিখেছেন,”এই প্রকল্প আপনাদের খোলামনে স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করবে। তোমাদের স্বপ্নপূরণে সাহায্যের কোনও কমতি হবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার জন্য ১০ হাজার কোটি বরাদ্দ, জমি পেলেই কাজ শুরু’, কলকাতায় দাঁড়িয়ে দাবি রেলমন্ত্রীর]
পড়ুয়াদের একাত্মতার বার্তা দিতে তাঁর নিজের পরিবারে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনার কথাও চিঠিতে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি (Narendra Modi) বলেছেন,”প্রায় এক শতাব্দী আগেও একইভাবে মহামারীর (COVID-19 Pandemic) কবলে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। তখনই মাতৃহারা হন, আমার মা। মানে আমার দিদাকে হারান আমার মা। আমার মা এতটাই ছোট ছিলেন যে দিদার মুখটাও মনে ছিল না তাঁর। আমার মা নিজের মা’কে ছাড়াই গোটা জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন। ভাব তো আমার মা কীভাবে জীবন কাটিয়েছেন। তাই আমি আজ বুঝতে পারি তোমাদের কতটা উৎকণ্ঠা হচ্ছে। তোমাদের হৃদয়ে কতটা যন্ত্রণা লুকিয়ে আছে।”
[আরও পড়ুন: আদালতের আবেদনকে মান্যতা, শিক্ষিকা পদে নিয়োগের চিঠি পেলেন ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস]
এরপরই মোদি বলেন, “যতদিন মা-বাবা ছিল, তারাই তোমাদের বলে দিত কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ। এখন তোমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। ওই শূন্যতা আর কেউ পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু তোমাদের পরিবার হিসাবে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, এই লড়াইয়ে তোমরা একা নও। গোটা দেশ তোমাদের সঙ্গে আছে।” প্রসঙ্গত, PM-CARES তহবিল থেকে কোভিডে অনাথ শিশুদের বছরে ২০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ২৩ বছর বয়স পূর্ণ হলে এককালীন ১০ লক্ষ টাকাও দেওয়া হবে তাদের। উচ্চশিক্ষার জন্য বছরে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সাহায্যও করা হবে।