সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! জাপানে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান বলে জল্পনা।
সূত্রের খবর, হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলন চলাকালীন মোদি ও জেলেনস্কির পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। এনিয়ে দিল্লি ও কিয়েভের কূটনীতিবিদরা পর্দার আড়ালে সক্রিয় রয়েছেন। বলে রাখা ভাল, দক্ষিণ এশিয়ার কণ্ঠস্বর হিসাবে জি-৭ (G-7) সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), সেরকমটাই জানিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি এফ সুজুকি। আজ শুক্রবার থেকে জাপানে (Japan) শুরু হয়েছে জি-৭ সম্মেলন। ইতিমধ্যেই সম্মেলনে যোগ দিতে সেদেশে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
[আরও পড়ুন: কার দখলে হিন্দুজা সাম্রাজ্য? ব্রিটেনে বর্ষীয়ান শিল্পপতির মৃত্যুর পর জল্পনা তুঙ্গে]
ভারতে নিযুক্ত জাপানের (Japan) রাষ্ট্রদূত জানান, জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও একাধিকবার আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে রুশ হামলা প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জাপান ওয়াকিবহাল। তবে এই যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিশ্বকে বার্তা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। তাঁর মতে, এইভাবে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে পারে না রাশিয়া। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবেশী দেশগুলির উপর যদি এভাবে হামলা হয়, তাহলে আগামী দিনে আরও যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হবে বিশ্বজুড়ে।”
বিশ্লেষকদের মতে, জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির বৈঠক বিশ্বমঞ্চে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, আমেরিকা ও পশ্চিমের চাপের কাছে কি নতিস্বীকার করতে চলেছে ভারত? সামরিক, কৌশলগত ও কূটনৈতিক ভিতের উপর রাশিয়ার সঙ্গে তৈরি কয়েক দশকের সম্পর্ক কি অন্যখাতে বইবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বলছেন, আসলে মস্কোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে দিল্লির। ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ থামাতে মোদির উদ্যোগে পুতিনের সমর্থন রয়েছে। কারণ, রাশিয়াকে (Russia) একঘরে করে কখনওই চিনের কোলে ঠেলে দেবে না নয়াদিল্লি।