অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বেশ কয়েক মরশুম পর প্রিয় দার্জিলিং (Darjeeling) শহরে তুষারপাত হওয়ায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু কয়েনের উলটো পিঠের মতো নেমে আসে বিপদও। পাহাড়ে একটানা তুষারপাতের জেরে সান্দাকফু-সহ টুমলিং এলাকায় বহু পর্যটক আটকে পড়েন। রাস্তায় বরফ (Snow Fall) থাকায় তাঁরা আর নামতে পারেননি। বৃহস্পতিবার তাঁদের উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন। সকলকেই সুস্থ অবস্থায় ফেরানো গিয়েছে বলে খবর। তাঁদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিন সকাল থেকে রোদের দেখা মিলেছে পাহাড়ে। তবে ভোরবেলার দিকে সান্দাকফুতে হালকা তুষারপাত হয়। বর্ষবিদায়ের আগে পাহাড়ে তুষারপাত বাড়তি আনন্দ দিয়েছে পর্যটকদের। বুধবার শ্বেতশুভ্র শৈলরানি ধরা দিয়েছিল তার নিজস্ব রুপে। আর বরফ দেখার জন্যই পর্যটকরা ঘুম, ম্যালের পাশাপাশি সান্দাকফুও চলে যান। তার ঠিক পাশেই রয়েছে টুমলিং। সেখানে বরফ দেখে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কিন্তু বরফের পরিমাণ এতটাই ছিল যে তাঁরা আর ফিরে আসতে পারেনি। ঠিক তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন হোম স্টে মালিকরা। তাঁরা পর্যটকদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি খাওয়ারও ব্যবস্থা করে দেন। এমনকী রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য সহযোগিতা করে স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশন।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় আসার পথে দুর্ঘটনা, মাথায় চোট পেলেন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ]
এদিন সকালেই পর্যটকদের উদ্ধার করতে পৌঁছে যায় পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। তাঁরা গিয়ে ২৩৫ জন পর্যটককে নামিয়ে আনেন টুমলিং থেকে। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, “আমরা খবর পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা-সহ এসএসবি কর্মীরা দারুণ সহযোগিতা করেছেন। হোম স্টে মালিকরাও যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তাতে পর্যটকরা রক্ষা পেয়েছেন। এমনকী ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষেও সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়। তাই আমরা সুস্থ অবস্থায় ২৩৫ পর্যটককেই নামিয়ে আনতে পেরেছি। এছাড়াও অনেকে সেখানে ট্রেকিং করছেন। তাঁদের দিকেও আমাদের নজর রয়েছে।
এদিকে সিকিমের লাচুং থেকেও পর্যটকদের উদ্ধার করা হয় এদিন। সেখানেও স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটকদের সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।