কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নিউটাউনের পর্ন ছবি কাণ্ডে (Newtown Porn Case) আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শৌভিক মুখোপাধ্যায়। শুটিং কো-অর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করত সে। বেলেঘাটা থেকে নিউটাউন থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাকে। এই নিয়ে পর্ন কাণ্ডে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মডেলিংয়ে আগ্রহী এমন মহিলাদের সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করত শৌভিক। তারপর ধীরে ধীরে তাঁদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করত সে। পরে পর্ন ছবিতে কাজে লাগানো হত ওই মডেলদের। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে মডেল জোগাড়ের কাজ করে আসছিল শৌভিক। তাকে জেরা করে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা জানা যাবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: সোনার দৌড় শেষ, বিশ্বের ১ নম্বর তারকার কাছে হেরে ব্রোঞ্জ আনলেন Lovlina]
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে পর্ন ছবির ‘হিরো’। হাওড়ার দাশনগর থেকে স্নেহাশিস বল নামে ওই অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, একাধিক পর্ন ছবিতে অশ্লীল ভিডিও শুটে অভিনয় করত সে। পরিচালক নন্দিতা এবং মৈনাকদের সঙ্গে বছরখানেক ধরে কাজ করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলে পুলিশি তদন্তমূলক ধারাবাহিকে অভিনয় করত স্নেহাশিস। অভিনয় সূত্রেই তার সঙ্গে অশ্লীল ভিডিওর দুই পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারপরই নন্দিতা-মৈনাকের তরফ থেকে প্রোমোশনাল ভিডিও শুটের প্রস্তাব তাকে দেওয়া হয়। মোটা পারিশ্রমিকও পায়। তারপর থেকে একাধিক অশ্লীল ভিডিও শুটে জড়িয়ে পড়ে স্নেহাশিস। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হত তাকে।
নগ্ন ভিডিও শুটের জন্য দেহের গঠন দেখে তরুণীদের বাছাই করা হত বলেই জানা গিয়েছে। শাড়ি, চুড়িদার পরিয়ে মহিলাদের আত্মবিশ্বাস বাড়লে নায়ক শুটিং ফ্লোরে ঢুকত। এক মহিলার অভিযোগ, রোম্যান্টিক দৃশ্যের নামে ডেকে হোটেলের ঘরে নগ্ন ভিডিও শুট করা হত। সেই ভিডিওতেই নায়কের ভূমিকায় থাকত স্নেহাশিস। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই স্নেহাশিসের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। শেষমেশ তাকে হাওড়ার দাশনগর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।