অর্ণব আইচ: মাদকের টোপ কিংবা যৌন নিগ্রহ তো আছেই, ডিজিটাল যুগে সাইবার অপরাধের বিপদও কম নয়। বিপদ থেকে কীভাবে নিজেকে বাঁচাতে হবে? এলাকার একটি স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাস নিলেন কসবা থানার ওসি দেবাশিস দত্ত ও অন্য আধিকারিকরা। রীতিমতো পাওয়ারপয়েন্ট প্রেডেন্টেশনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম সম্পর্কে পড়ুয়াদের অবহিত করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এর আগেও কসবা এলাকার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে কসবা থানার পুলিশ। সেই বৈঠকে স্কুলে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে।
[লিলুয়ায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই রঙের কারখানা]
কিন্তু, ঠিক কী ধরনের অপরাধের শিকার হতে পারে স্কুল পড়ুয়ারা? সত্যি কথা বলতে, বিপদ তো আর বলেকয়ে আসে না। পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, অনেক সময় নিজেদের অজান্তে অপরাধে শিকার হয়ে যায় স্কুলের পড়ুয়ায়া। যতক্ষণে তারা বিষয়টি বুঝতে পারে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। স্কুল কিংবা কলেজে র্যাগিং বা অন্য কোনও অছিলায় যৌন নিগ্রহের সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনি বাড়ির লোক, আত্মীয়, এমনকী, খুব কাছের কারও হাতেও নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা কিন্তু ঘটে। রাস্তাঘাটে ইভিটিজিংও এখন একটি বড় সমস্যা। আবার বন্ধু সেজে কেউ হয়ত স্কুলপড়ুয়াদের মাদকের টোপ দিল। এভাবেই নিজের অজান্তে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে এ শহরের স্কুলপড়ুয়ারা। মাদকাসক্ত হওয়ার পর সেই পাচারকারীরাই তাদের মাদক বিক্রি করে।
[ঋণের দায়েই আত্মহত্যা! যাদবপুরের বহুতল থেকে উদ্ধার দম্পতির ঝুলন্ত দেহ]
বস্তুত, কলকাতার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের বহু পড়ুয়াই যে মাদকাসক্ত তার প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ধরনের অপরাধ বা অপরাধীদের সামনে পড়লে কী করতে হবে, তা স্কুল পড়ুয়াদের তা বুঝিয়েছেন কসবা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। আগামিদিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্কুলে ক্লাস নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।
[কাঁচা আম সস্তায় মিললেও এবছর পাকা আমের দাম চোখে জল আনবে]