সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: এনভিএফ (ন্যাশনাল ভলেন্টিয়ার ফোর্স) হেডকোয়ার্টারে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে জলসা বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ রাজ্য এনভিএফ কর্মী-সহ স্থানীয় ৯ জন। আক্রান্ত পুলিশ এসআই ভর্তি দুর্গাপুরের বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত বারোটা নাগাদ দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ভলেন্টিয়ার ফোর্সের দুর্গাপুর (এনভিএফ) হেডকোয়ার্টারের ভিতর বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে লাউড স্পিকার বাজিয়ে জলসা চলছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে সেই অভিযোগ পেয়ে কোকওভেন থানার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছয়।
অভিযোগ, লাউড স্পিকার বন্ধ করার কথা বলতেই পুলিশের এসআই সঞ্জয় ঘোষের উপর হামলা চালায় মদ্যপ এনভিএফ কর্মীরা। তার পরেই কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫ জন এনভিএফের কর্মী-সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল, শীতল দাস, যোগেশ্বর গড়াই, নোরমান মিঁয়া, মনসারাম সোরেন, বিবেক রায়, সুদীপ্ত রায়, চন্দন লোহার ও দেবদাস কুণ্ডু। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। সেখানে ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন,"বুধবার রাতে প্রচন্ড জোরে লাউড স্পিকার বাজানো হচ্ছিল এনভিএফ হেডকোয়ার্টারের বাউন্ডারিতে। সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পৌঁছতেই মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের ওপর হামলা চালায় এনভিএফএর কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় এসআই সঞ্জয় ঘোষকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এনভিএফের আধিকারিকরা।