সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানাতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রবিবারই তিনি আবেদন জানাতে পারেন বলে খবর। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) আরও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের উপরই স্থগিতাদেশ চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২ মে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপির (BJP) অভিযোগ, ব্যাপক হিংসা চলছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন শাসকদলের কর্মীরাই। বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা ভয়ে এলাকাছাড়া হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ ভিনরাজ্যেও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। একটা নির্বাচিত সরকার আসার পর এ ধরনের হিংসা কাম্য নয় বলেও একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সমর্থকদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে এ নিয়ে মামলাও দায়ের করেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মামলার শুনানিতে ভিনরাজ্যে চলে যাওয়া বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ করতে মানবাধিকার কমিশনের তত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: লেকটাউন থেকে গ্রেপ্তার দুই ‘সন্দেহভাজন’ বাংলাদেশি অনুুপ্রবেশকারী, উদ্ধার ভুয়ো পরিচয়পত্র]
তবে পরবর্তী সময়ে মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই কমিটি বিশেষ কাজই করেনি। এখনও ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো যায়নি। এমনকী এ বিষয়ে রাজ্য সরকারও যথেষ্ট উদসীনতার পরিচয় দিয়েছে। অথচ এই সমস্যা সমাধানে রাজ্যেরই সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেওয়ার কথা, এমনই উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা। শুক্রবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি তৈরি হোক। তারা ঘরছাড়া বিজেপি সমর্থকদের পরিস্থিতি দেখেশুনে, রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে ৩০ জুনের মধ্যে। তারপর পরবর্তী শুনানি। এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ (stay order) চেয়েই উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।