সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) পোস্টার ছেঁড়া ঘিরে রাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়গপুর (Kharagpur)। অভিযোগ, বিএনআর ময়দান অর্থাৎ যেখানে শনিবার জনসভা করবেন তিনি, সেই মঞ্চের পিছনের দিকের মোদির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পোস্টার ছিঁড়েছে। বেশ কয়েকটি হোর্ডিংও নষ্ট করা হয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৫ টি এবং ঝাড়গ্রামের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের সমর্থনে খড়গপুরে বিশাল জনসভা প্রধানমন্ত্রী মোদির। ১০.৪৫ নাগাদ ট্রাফিক রিক্রিয়েশন মাঠে তাঁর কপ্টার নামবে। সেখান থেকে ২ কিমি দূরেই সভাস্থল বিএনআর ময়দান। সেখানে সকাল ১১টা নাগাদ জনসভা শুরু হওয়ার কথা। ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় তাঁর জনসভায় ভিড় আক্ষরিক অর্থেই উপচে পড়েছিল। সেই জনসমুদ্রের সামনে উন্নয়নের সোনালি সকালের কথা শুনিয়ে গিয়েছেন। শনিবার সেই উন্নয়নের স্বপ্ন-পসরা নিয়েই খড়গপুরে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরানোর তোড়জোড় পঞ্চায়েতের, উৎসাহ নেই পরিবার]
পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে খড়গপুরে সভা মোদির। আর তার আগে শুক্রবার বাংলার মানুষের উদ্দেশে উন্নয়নের ডাক দিয়ে টুইট করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জয় ওই রাজ্যে উন্নয়নের নতুন যুগের সূচনা করবে। একই সঙ্গে তৃণমূলের হুমকি ও গা-জোয়ারি রাজনীতির অবসান ঘটাবে।’’
বস্তুত বিধানসভার নির্বাচনে মোদি ও অমিত শাহকে দিয়ে বাংলা জুড়ে প্রতিপক্ষের উপর কার্পেট বম্বিংয়ের রণকৌশল সাজিয়েছে এবার বিজেপি। দু’জনের প্রচারসূচি দেখলে সে কথা মালুম হতে বিলম্ব হচ্ছে না। মাসের শুরুতেই ব্রিগেড করে গিয়েছেন মোদি। অমিত শাহ সভা করেছেন ঝাড়গ্রাম ও বঁাকুড়া। বৃহস্পতিবার মোদি পুরুলিয়া থেকে ফিরে ফের পশ্চিম মেদিনীপুর আসছেন শনিবার। তিনি ফিরে যেতেই রবিবার এগরায় জনসভা করবেন অমিত শাহ। সভা শেষে কলকাতা এসে দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করার কথা তাঁর। যে ইস্তাহারকে চূড়ান্ত রূপ দিতে এখন ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩৪৭ জন]
বিজেপির প্রায় পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর এদিন ক্ষোভ-বিক্ষোভ কমতে শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে প্রার্থীরাও জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে এই প্রচারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগদানের প্রচারও চলেছে গুরুত্ব দিয়ে। কপ্টার বিভ্রাটে ঝাড়গ্রামের জনসভায় অমিত শাহ না আসতে পারায় স্বাভাবিকভাবেই ভিড় হয়েছিল প্রত্যাশার তুলনায় কম। তাই খড়গপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় পুরুলিয়ার ভিড়ের নজির ভাঙতে নেমে পড়েছে জেলা নেতৃত্ব। দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা দেড় লক্ষ করা হলেও এর চাইতেও বেশি মানুষ সভায় আসবেন বলে আমাদের ধারণা।’’