সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হল অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহ। আর প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই চাঁদা সংগ্রহ অভিযান চলবে।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সহ-সভাপতি গোবিন্দদেব গিরিজি মহারাজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার, মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রধান নৃপেন্দ্র মিশ্র ও আরএসএস নেতা কুলভূষণ আহুজা। তাঁদের হাতেই পাঁচ লক্ষ একশো টাকার চেক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, ১০, ১০০ ও ১ হাজার টাকার কুপনে অনুদান সংগ্রহ করা হবে সাধারণ মানুষের থেকে। তবে এই ট্রাস্টে সরকারি কোনও তহবিল থেকে অর্থসাহায্য গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। পাশাপাশি বিদেশ থেকে কিংবা কর্পোরেট সংস্থার তরফে চাঁদা দিতে চাইলেও তা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আত্মসম্মানে আঘাত করলে কোনও ‘সুপার পাওয়ার’ও ছাড় পাবে না! ফের চিনকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের]
এদিনই পাটনায় এই অনুদান সংগ্রহ অভিযান সংগ্রহের উদ্বোধন করে বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদি বলেন, তাঁর আশা বিহারের প্রতিটি হিন্দু পরিবারই রাম মন্দির নির্মাণে চাঁদা দেবে। অন্য ধর্মের কেউ চাঁদা দিতে চাইলে তা নেওয়া হবে কিনা, সেপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তাতে কোনও আপত্তি নেই। তাঁর কথায়, ”কেন নয়? কিন্তু মসজিদ হলে যেমন আশা করা হয়, মুসলিমরাই এগিয়ে আসবে, তেমনই রামের মন্দিরের জন্য হিন্দুদেরই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। তবে বাকি ধর্মের মানুষরাও তাঁদের অনুসরণ করতে পারবেন।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দিরই হবে। সেই ঐতিহাসিক রায় মেনে এবছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়। উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, সারা দেশজুড়েই এই পুজোকে ঘিরে আলোচনার পারদ চড়ে। মন্দিরের শিলান্যাস করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হল। অবসান হল দীর্ঘ সময়ের প্রতীক্ষার।’’