সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পুলওয়ামা হামলার (Pulwama) যন্ত্রণা কোনও ভারতীয় কোনওদিন ভুলবে না।’ ভারতের ইতিহাসের ‘নৃশংসতম’ জঙ্গি হামলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আবেগপ্রবণ হয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বলে দিলেন, “আমরা আমাদের সেনা জওয়ানদের জন্য গর্বিত। ওঁদের বীরত্ব আমাদের বহু যুগ ধরে অনুপ্রেরণা দেবে।” এদিনই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১১৮টি অত্যাধুনিক অর্জুন ট্যাংক (Arjun Mark1A) ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিনে রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা। সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলায় শহিদ হন চল্লিশেরও বেশি সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান। সিআরপিএফের কনভয় লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলার ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা জড়িত ছিল। এই ঘটনার পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। প্রত্যাঘাতের লক্ষ্যে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে পাক সেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার দাবিও করেছে ভারত সরকার। কিন্তু কোথাও একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন পুলওয়ামার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সেনা তথা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে ‘আত্মনির্ভর’ করার শপথ নিলেন। চেন্নাইয়ে সেনাবাহিনীর হাতে অর্জুন ট্যাঙ্কগুলি উৎসর্গ করে বললেন, আগামী দিনে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করতে সমস্ত পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার। অর্জুন মার্ক-১এ ট্যাংক দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এছাড়াও, নিকট ভবিষ্যতে বায়ুসেনা ও নৌসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তির মিসাইল তুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। যা সরকারের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘ওই ২০০ জন এমনিও মরতো’, বিক্ষোভকারী কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে রসিকতা হরিয়ানার মন্ত্রীর]
যদিও, রবিবার চেন্নাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে অনেকে রাজনীতিরও গন্ধ পেয়ছেন। কারণ, বাংলা-অসম-কেরলের পাশাপাশি তামিলনাড়ুতেও সামনেই নির্বাচন। তার ঠিক আগে চেন্নাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন মোদির মুখে বারবার তামিলনাড়ুর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। অতিমারীরর বছরে রেকর্ড ফসল ফলানোর জন্য তামিল কৃষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, আবার তামিলনাড়ুকে ভারতের ট্যাঙ্ক তৈরির হাব বলে অভিহিত করেছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অর্জুন হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে কৌশলে তামিলভূমের ভোটারদের কাছে টানারও চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।