shono
Advertisement

‘লং লিভ পুতিন’, হাজার হাজার মানুষের হুঙ্কারে কাঁপল নাইজারের ফরাসি দূতাবাস

কেন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নাইজারে?
Posted: 05:06 PM Jul 31, 2023Updated: 05:06 PM Jul 31, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সাম্রাজ্যবাদী ফ্রান্স নিপাত যাক। পুতিন দীর্ঘজীবী হোন।’ হাজার হাজার মানুষের এহেন হুঙ্কারে রবিবার কেঁপে ওঠে নাইজারের ফরাসি দূতাবাস। শুধু তাই নয়, দূতাবাসের ফলক খুলে টাঙিয়ে দেওয়া হয় রাশিয়া ও নাইজারের পতাকা।

Advertisement

পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ নাইজার। ইউরেনিয়াম, কয়লা, সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে দেশটিতে। দীর্ঘদিন উপনিবেশ থাকার পর ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের হাত থেকে স্বাধীনতা পায় নাইজার। তবে আজও দেশটিতে ফরাসি প্রভাব রয়েছে। অভিযোগ, আজও দেশটির সম্পদ লুট করছে প্যারিস। এই প্রেক্ষাপটে, গত বুধবার নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। রাজধানী নিয়ামেতে নিজের প্রাসাদে রক্ষীদের হাতেই আটক হন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুম। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা (America)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আমেরিকা। দ্রুত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুমকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।

[আরও পড়ুন: কিমের দরবারে বিরাট ছবি পুতিনের, উদ্বিগ্ন ‘আঙ্কেল স্যাম’]

এবার পরিস্থিতি জটিল করে আক্রান্ত হয়েছে ফরাসি দূতাবাস। কাঁদানে গ্যস ছুঁড়ে, লাঠিচার্জ করে কোনও মতে নাকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। সামরিক অভ্যুত্থানের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দেশের সম্পদ লুট করছে প্যারিস। পালটা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যক্রোঁর দপ্তর হুমকি দিয়েছে। কোনও ফরাসি নাগরিক আক্রান্ত হলে প্রত্যাঘাত করা হবে।

বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানেও মদত রয়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর। গত জুন মাসে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। তবে শেষমেশ লড়াই থামিয়ে বেলারুশে ঘাঁটি গেড়েছেন ওয়াগনার প্রধান। অনেকেই বলছেন, পুতিনের সঙ্গে নাকি বোঝাপড়াও হয়ে গিয়েছে তাঁর। মস্কো আগেই জানিয়েছিল, মালিতে যেভাবে কাজ করছিল ওয়াগনার সেভাবেই কাজ চলবে। বলে রাখা ভাল, আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশ যেমন–সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি, লিবিয়া, সুদানে সক্রিয় ওয়াগনার। সিরিয়াতেও আসাদ সরকারের হয়ে লড়ছে ওয়াগনার।

[আরও পড়ুন: হিজাবে না বললেই খতম চাকরি, মাহসার বিপ্লব ব্যর্থ করে প্রস্তর যুগে ফিরছে ইরান!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement