সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজটা সহজ ছিল না ইস্টবেঙ্গলের কাছে। টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত পাঞ্জাব এফসি। সঙ্গে রয়েছে তাদের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ক্ষুরধার মস্তিষ্ক। সেমিফাইনালে দুদলকেই জিততে হয়েছে কষ্ট করে। কিন্তু এদিন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের টানটান ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে ৩-২ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনু জর্জ পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে দল নামালেন তাতে ছিলেন না সায়ন ব্যানার্জি, পিভি বিষ্ণুরা। সিকে আমনদের ভরসাতেই পাঞ্জাবের মতো দলকে হারাতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল করে যায় পাঞ্জাব। মাঝমাঠ থেকে থ্রু বল ধরে জালে বল জড়িয়ে দেন ওমাং। লাল-হলুদ অধিনায়ক আদিল অমল অনেকটা ছুটেও আটকাতে পারলেন না তাঁকে। যদিও তার পর খেলায় ফেরেন শ্যামল বেসরারা। যার ফল পাওয়া গেল ম্যাচের ৪০ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে আসা বল পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই রিসিভ করেন গুইতে। তাঁর পায়ের ছোট টোকায় কেটে যায় পাঞ্জাব ডিফেন্স। জোরালে শটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরায় গুইতে।
[আরও পড়ুন: কোহলির ‘কিং’ হওয়ার নেপথ্য নায়ক কে? মাহি-বিরাট মহারণের আগে বড় মন্তব্য গাভাসকরের]
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ বজায় রেখেছিল তারা। ৪৯ মিনিটে কর্নার থেকে দলকে এগিয়ে দেয় জোসেফ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বড়দের দলকে যে সমস্যা ভুগিয়েছে, তা বাধা হয়ে দাঁড়াল বিনু জর্জের দলের জন্য। এগিয়ে যাওয়ার পর খেলার সেই ধার অনেকটা কমে গেল। বল দখলের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন রিকি সবংরা। এর আগের ম্যাচগুলিতে মাঝমাঠ দখলে রেখেই আক্রমণ শানিয়েছে শঙ্করলালের ছেলেরা। এদিনও সেই কাজটা করল তারা। তার মধ্যে অকারণে মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন দুদলের ফুটবলাররা। ফলস্বরূপ কর্নার থেকে ৫৮ মিনিটে গোল খেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ৭২ মিনিটে দূরপাল্লার অসাধারণ শটে পাঞ্জাবকে এগিয়ে দিলেন হরমনপ্রীত। সেখান থেকে একাধিক আক্রমণ করেও ফিরতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ৩-২ গোলে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্টের ফাইনাল জিতে নিল শঙ্করলালের ছেলেরা।
এই ম্যাচের দিকে নজর ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। নতুন ফুটবলার তুলে আনার জন্য এই লিগকেই পাখির চোখ করেছিলেন তিনি। ম্যাচ হারলেও হয়তো পরের মরশুমের জন্য নতুন ফুটবলার পেয়ে যাবেন লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু এগিয়ে থেকেও কলকাতায় আরও একটা ট্রফি আনার সুযোগ হেলায় হারাল বিনু জর্জরা।