সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কটল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া বেড়াতে গিয়েছিলেন মারিয়া বক্সাল। ফিরে আসার পর যখন সুটকেস খোলেন তখন চোখে পড়ে তার মধ্যে থাকা জুতোর ভিতরে রয়েছে একটি সাপ। প্রথমে সেটিকে দেখে প্লাস্টিকের বলেই ভেবেছিলেন তিনি।
তাঁর মনে হয়েছিল, মজা করার জন্যই কেউ নতুন জুতোর মধ্যে সেটা রেখেছেন। পরীক্ষা করার জন্য সাপটির গায়ে হাত দিতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। হাতের স্পর্শে নড়ে ওঠে সাপটি। তারপরই তাঁর বোধগম্য হয় যে সেটি আসলে জ্যান্ত। ঘাবড়ে গিয়ে স্কটল্যান্ডের বনপ্রাণী সংস্থা স্কটিশ সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমালস (এসপিসিএ)-র সদস্যদের খবর দেন তিনি। পরে তাঁরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে স্বস্তি পান মারিয়া।
[আমাজনের ঘন জঙ্গলের পথে এ কী! চোখ কপালে পর্যটকদের]
এপ্রসঙ্গে এসপিসিএ-র অ্যানিমাল রেসকিউ অফিসার টাইলর জনস্টোন বলেন, ‘আমি যখন ঘটনাস্থলে যাই তখন সাপটিকে একটি বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল। তাই খুব সহজেই সেটিকে উদ্ধার করতে পারি। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই পাইথনটি বিষাক্ত নয়। তাই সেটা যদি মারিয়াকে কামড়েও দিত তাহলে ক্ষতি কিছু হত না।’ অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিও চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মারিয়ার জামাই পল বলেন, ‘আমার শাশুড়ি তাঁর অস্ট্রেলিয়া সফরে সময়ে ঘরে একটি সাপ দেখতে পেয়েছিলেন। সেটাই পরে তাঁর জুতো থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।’
বিষয়টি যাই হোক না কেন মারিয়া বক্সালের সঙ্গে ওই সাপটি অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৪,০০০ কিলোমিটার সফর করে স্কটল্যান্ডে পৌঁছে ছিল। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিজের হ্যান্ডব্যাগে ২০ জ্যান্ত সাপ নিয়ে জার্মানি থেকে রাশিয়া এসেছিলেন এক ব্যক্তি।