সংবাদ প্রতিদিন ডি়জিটাল ডেস্ক: খদ্দের খুঁজছে কাতারের রাজপরিবার৷ কীসের? তাঁদের একটি দোতলা বিমান বিক্রি করার জন্য৷ বিমানের দাম মাত্র পঞ্চাশ কোটি টাকা। বিমান কেনার ইচ্ছে থাকলে শীঘ্রই যোগাযোগ করুন রাজপরিবারের কাছে। বাংলা থেকে কাতার খুব একটা দূর নয়। হামেশাই সেদেশে পাড়ি জমান বাঙালিরা৷ তাই টাকা থাকলে বন্ধুদের চমকে দিতে কিনতেই পারেন এই বিমান।
[কাঁটাতারে বিচ্ছেদ, ৬৫ বছর পর পুনর্মিলন কোরীয় পরিবারের]
বিমানে পাঁচতারা নয়, রয়েছে সাততারা চমক৷ তাই দামটাও যে সেরকমই হবে, তাতে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই৷ এই পঞ্চাশ কোটির বিমানটি এখন বিক্রির লাইনে দাঁড়িয়ে। বিমানে কী কী পরিষেবা আছে, শুনলে বিমান না রাজপ্রাসাদ বুঝতে পারবেন না৷ তা কী কী রয়েছে এই বিমানে? বোয়িং ৭৪৭-৮, দোতলা বিমানে একটি বিলাসবহুল শোওয়ার ঘর। বেশ কয়েকটি বসার জায়গা এবং রয়েছে দশটি শৌচাগার রয়েছে। উডেন ফ্লোরের শোওয়ার ঘরে রয়েছে একটি কিং-সাইজ খাট। বিমানের ভিতরে নীল-সাদা এবং সোনালি রঙের কারুকাজ করা। বিমানটির ভিতরে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শোপিস দিয়ে। বসার ঘরে রয়েছে সোফা এবং কফি-টেবিল। বিমানে টার্বুল্যান্সের কথা ভেবে সবকিছুই মেঝের সঙ্গে ভালমতো ফিট করা হয়েছে। বসার জায়গা, শোওয়ার ঘর এবং দশ-দশটি শৌচাগারের পাশাপাশি বিমানে রয়েছে একটি মেডিক্যাল সেন্টারও। তাই আপাৎকালীন ব্যবস্থাতেও চিন্তা নেই। শরীর ভাল না থাকলে শুধু নিজের চিকিৎসককে সঙ্গে রাখলেই হবে। আন্তর্জাতিক মানের বিমানটি যদি স্বাভাবিক উড়ানের মতো হত, তাহলে প্রায় সাড়ে চারশো যাত্রী বসার জায়গা করা যেত।
[OMG! মাত্র ২ কেজি মাংস কিনতে এত টাকা দিতে হয় এই দেশে!]
কিন্তু এই বিমানটি কাতারের রাজপরিবারের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল বলেই সাড়ে চারশো লোকের বসার জায়গায় সুসজ্জিত শোওয়ার ঘর এবং বসার জায়গার ব্যবস্থা রয়েছে। আপাতত বিমানটিতে ৭৬ জনের বসার জায়গা রয়েছে এবং এই সংখ্যক যাত্রীর দেখভালের জন্য ১৮ জন বিমানকর্মীর থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। বিমানটি এখন পর্যন্ত ৪০৪ ঘণ্টার সফর করেছে। বিমানটি কিনতে হলে দেখতে পারেন কাতারের কনট্রোলারের ওয়েবসাইট। বিমান কেনার দৌড়ে এগিয়ে কারা? পঞ্চাশ কোটি দাম শুনে সাধারণ মধ্যবিত্তের চোখ কপালে উঠলেও, বিমানটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের এএমএসি অ্যারোস্পেস নামের একটি সংস্থা৷
The post ৫০ কোটিতে রাজকীয় বিমান! খদ্দের খুঁজছে কাতারের রাজপরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.