সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) প্রশাসনিক ক্ষমতা দখলে রাখতে অধ্যাদেশ জারি করেছে কেন্দ্র। বিরোধিতায় সরব হয়েছে আপ (AAP)। কেন্দ্রের বিরোধিতায় সমর্থন পেতে বিরোধী দলগুলির কাছে দরবার করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কংগ্রেসের (Congress) কাছেও সমর্থন চেয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, আপকে সমর্থন করবে তারা। যদিও দলের অন্দরে ভিন্ন সুর নিয়ে জল্পনা চলছে। আপ সুপ্রিমোর অনুরোধে সাড়া দেওয়া হবে কিনা তা চূড়ান্ত করতে সোমবার দিল্লি ও পঞ্জাব কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী। সুত্রের খবর, দুই রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বই আপকে সমর্থনের বিরোধিতা করেছে।
গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, রাজধানীর আমলাদের বদলির ক্ষমতা থাকবে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে। ওই দিন রাতেই The Government of CNCT of Delhi (Amendment) ordinance শীর্ষক একটি অধ্যাদেশ আনে কেন্দ্র। গঠন করা হয় ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি’। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট, ১৯৯১-কে সংশোধন করে এই অধ্যাদেশ আনে মোদি সরকার। ফলে সুপ্রিম রায় বাতিল হয়ে ফের একবার দিল্লির আমলাদের বদলির ক্ষমতা চলে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। অধ্যাদেশটিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দিল্লি প্রশাসনে কর্মরত গ্রুপ-এ আমলাদের বদলি তথা নতুন পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন উপরাজ্যপালই। এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে আপ। সমর্থন জোগাড়ে আসরে নেমেছেন কেজরিওয়াল।
[আরও পড়ুন: বিমান কেনায় বিপুল ‘কাটমানি’, বিখ্যাত ব্রিটিশ সংস্থা রোলস রয়েসের বিরুদ্ধে মামলা CBI-এর]
ইতিমধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, শরদ পওয়ার, তেজস্বী যাদব এবং উদ্ধব ঠাকরে। কংগ্রেসর কাছেও একই ইস্যুতে সমর্থন চেয়েছেন কেজরি। যদিও খাড়গে-রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে আপকে সমর্থনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে দিল্লি ও পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, এই দুই রাজ্যেই আপের কাছে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল দলকে। যদিও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এখনই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চারচাকা গাড়ির সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, দুই শিশু-সহ মৃত ১০]
এর আগে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken) কেজরিওয়ালকে সমর্থনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। টুইট করে বলেন, আপকে সমর্থন দেশের প্রশাসন এবং সংবিধানের বিরোধিতার সমতুল্য। এমনকী তা নেহরু, আম্বেদকরদের মতো দেশনেতাদের প্রজ্ঞার বিপক্ষে যাবে। উল্লেখ করেন, বিজেপির সঙ্গে দল বেঁধে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিল কেজরিওয়াল। সাম্প্রতিক কর্ণাটকে ভোটে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল আপ। এই দলকে কখনই সমর্থন করা যায় না।