সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মানহানির মামলায় তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সরকারি বাংলো সব খোয়াতে হয়েছে। একাধিক মানহানির মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। এবার নয়া মামলায় ফাঁসলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সঙ্গী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)।
আসলে কর্ণাটক নির্বাচনের আগে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ‘৪০ পার্সেন্ট সরকার’ তকমা লাগিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। রাহুল থেকে শুরু করে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়া সকলেই নিজেদের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে যে কোনও সরকারি কাজে ৪০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকী সংবাদপত্রে ফলাও করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের সেই প্রচারে ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক কেশবপ্রসাদ তিন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে দেন।
[আরও পড়ুন: মদ রুখতে এবার ‘অস্ত্র’ লঙ্কার গুঁড়ো, বিহার সরকারের নয়া অপরেশন ]
ওই বিজেপি নেতার দাবি ছিল, কংগ্রেস যে অভিযোগ করছে সেটা ভিত্তিহীন। এর কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি, অথচ বিজেপির (BJP) নামে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, কংগ্রেসের এই ভিত্তিহীন প্রচারের জন্যই কর্ণাটকে বিজেপিকে হারতে হয়েছে। সেই মামলাতেই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল গান্ধী, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে সমন পাঠিয়েছেন। আগামী ২৭ জুলাই তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও এই তলবকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: একের পর এক লাভ জেহাদ! পালটা ‘মহাপঞ্চায়েত’ হিন্দুত্ববাদীদের, ফের উত্তপ্ত উত্তরকাশী]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মোদি পদবি মামলায় রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত। তাঁকে দু’বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে গুজরাটের আদালত। সেই সাজার জেরেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল হয়েছে।