সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কোনও দেশবিরোধী কথা বলেননি বলে দাবি করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। লন্ডন সফর শেষে বৃহস্পতিবার সংসদে উপস্থিত হন তিনি। তারপরেই রাহুলের জবাবদিহি চেয়ে উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ। তবে সংসদে মুখ না খুললেও সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, লন্ডনে (London) থাকাকালীন ভারত বিরোধী মন্তব্য করেননি। যদি তাঁর কাছে উত্তর চাওয়া হয় তাহলেও একই অবস্থানে অনড় থাকবেন বলেন জানালেন কংগ্রেস সাংসদ।
বৃহস্পতিবার রাহুল সংসদে (Parliament) ঢোকার পরেই চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলাদাভাবে রাহুলের জবাব চান। সংসদের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “কয়েকদিন আগেই আমি মোদিজি ও আদানিজি সংক্রান্ত ভাষণ দিয়েছি। স্বভাবতই সেই বক্তৃতা তাঁদের পছন্দ হয়নি। তবে সেই ভাষণে আমি এমন কিছুই বলিনি যার প্রমাণ নেই।”
[আরও পড়ুন: বীরভূমের নদীতে সোনার গয়না! কুড়োতে হুড়োহুড়ি গ্রামবাসীদের]
সেই সঙ্গে রাহুল আরও বলেন, “আজ সকালেই স্পিকারকে জানিয়েছিলাম যে আমি সংসদে বক্তব্য রাখতে চাই। চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। আশা করি আগামীকাল বক্তব্য রাখার সুযোগ পাব কারণ নিজের মতামত খোলাখুলি ভাবে প্রকাশ করার অধিকার আছে আমারও।” এদিন সংসদে ঢোকার আগেই গাড়ি থেকে নামার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বলেন, “আমি ভারত বিরোধী মন্তব্য করিনি।” কেন্দ্রকে বিঁধে রাহুলের মন্তব্য, “ভারতে যদি গণতন্ত্র থাকে, তাহলে আমি সংসদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে পারব।”
প্রসঙ্গত, লন্ডনের কেমব্রিজ ও চ্যাথাম হাউসে রাহুলের বক্তব্য ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশের গণতন্ত্রকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। যদিও গতকালই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাফ জানিয়েছিলেন, রাহুল কোনওমতেই ক্ষমা চাইবেন না। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাহুল সংসদে কী বলেন, সেদিকে নজর থাকবে রাজনীতিকদের।