বারুইপুর, দেবব্রত মণ্ডল: ভ্যা ভ্যা করে ডাকছিল ছাগল। এক যুবক পেছনে লাঠি দিয়ে তাড়া লাগাচ্ছে, যাতে করে ট্রেন চলে না যায়। অন্যজন ছাগলের দড়ি ধরে টানাটানি করছিলেন। প্লাটফর্মে উঠে ছাগলের মালিক দুই যুবক গন্তব্য শিয়ালদহ অবধি নিজেদের টিকিট কাটেন। তাই বলে ছাগলের জন্যও টিকিট কাটতে হবে? টিকিট পরীক্ষকের চাপে তাই করতে হল। দেড়শো টাকার ছাগলের জন্য ১৮০ টাকা ফাইন দিলেন শিয়ালদহ-ক্যানিং লোকালের যাত্রী ওই যুবকরা।
ছাগলের টিকিট লাগবে জেনে হতভম্ব অবস্থা হয় দুই যুবকের। দুই টিকিট পরীক্ষককে নিজেদের টিকিট দেখিয়েছিলেন তাঁরা। স্বভাবতই ছাগলের কোনও টিকিট দেখাতে পারেননি। এই দায়ে ১৮০ টাকা ফাইন হয়।তার পরেই ছাগল নিয়ে শিয়ালদহ- ক্যানিং লোকালে চাপতে পারেন দুই যুবক। স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের অতিরিক্ত বুকিং সিস্টেম না থাকায় রেলের টিকিট পরীক্ষকরা মর্জিমাফিক ফাইন করেন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: যত প্রয়োজন, তত সংরক্ষণ! ভোটপ্রচারে ৫০ শতাংশের সীমা ছাড়ানোর ঘোষণা রাহুলের]
জানা গিয়েছে, সামনে বকরি ঈদ। সেই কারণেই বাসন্তীতে ছাগল কিনতে এসেছিল গার্ডেনরিচের বাসিন্দা দুই যুবক। তাঁদের মহম্মদ ইলিয়াস ও মহম্মদ ইরফান। দুই যুবক আক্ষেপের সুরে জানান, ছোট ছাগল কিনেছিলাম মাত্র ১৫০ টাকায়, এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে। সেই দেড়শো টাকার ছাগলের জন্য ১৮০ টাকা ফাইন দিতে হল রেলকে!