সোমনাথ রায়: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ৩৫ বছর পর কাটজুড়িডাঙ্গা হল্ট স্টেশনের (Katjuridanga halt station) অনুমোদন দিল কেন্দ্র সরকার। বিক্ষোভ-আন্দোলনের পর অনুমোদন মেলায় বেজায় খুশি বাঁকুড়াবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদরা শাখায় বাঁকুড়া-আঁচুড়ি স্টেশনের মাঝে অবস্থিত কেশরা কাটজুড়িডাঙ্গা। প্রায় ৩৫ বছর ধরে সেখানে হল্ট স্টেশনের দাবি ছিল বাঁকুড়াবাসীর। একাধিকবার বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। বারবার রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের নিজেদের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘দিদি না থাকলে সব শেষ হয়ে যাবে’, রায়গঞ্জ থেকে দলের কর্মীদের জোট বেঁধে লড়ার বার্তা ফিরহাদের]
তবে মঙ্গলবারই মিলল সুখবর। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রেলমন্ত্রকের তরফে মিলল হল্ট স্টেশনের অনুমোদন। এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি বাঁকুড়াবাসী। তাঁদের দাবি, বাঁকুড়া রেল স্টেশন থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দূরত্ব সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। রোগীদের সমস্যা হত। ওই হাসপাতালে দেড় হাজার রোগী ভরতি হতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে অন্তত তিন হাজার রোগী ভিড় জমান। অনেক অফিস,স্কুল ও কলেজযাত্রীরাও এই হল্ট স্টেশনের সুবিধা পাবেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হওয়ার সময় হল্ট স্টেশনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। তাই আশাহত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কাটজুড়িডাঙ্গা হল্ট স্টেশনের অনুমোদন মেলায় সাংসদ সুভাষ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাঁকুড়ার মানুষজন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।