সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে নবমীর (Nabami) দুপুরেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি (Rain) নামল। উৎসবের শেষ ধাপে মেজাজ যখন একেবারে তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে যেন সাক্ষাৎ অসুর হয়ে শুরু হল বৃষ্টি। কলকাতার (Kolkata) পথেঘাটে জল জমতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। মণ্ডপমুখী জনতার উৎসাহে কার্যত ভাঁটা। তবে তাতেও দমছেন না অনেকেই। ছাতা নেই তো কী হয়েছে? বৃষ্টিতে ভিজেই বিখ্যাত পুজোগুলি দেখতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার আচমকা বৃষ্টিতে বিরক্ত। সাজগোজ সমস্ত পণ্ড হল কি না!
দুর্গোৎসবের মাঝেই হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। তার প্রভাবে আজ থেকে তিনদিন বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি হবে, তেমনই পূর্বাভাস ছিল। তবে দুপুরেই যে আঁধার করে বৃষ্টি নামবে, তা বোধহয় কেউ ভাবেননি। তাই সকাল সকাল প্যান্ডেল হপিংয়ের ভিড় জমেছিল। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ১২টা পেরতেই ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! রাতভর ঠাকুর দেখে ভোরে ফেরার সময় বাইক দুর্ঘটনায় মৃত ২ ভাই]
বুধবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২ দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই তাঁদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ সমুদ্র ধীরে ধীরে উত্তাল হবে। এর পর ঘূর্ণিঝড় গতিপথ বদলে বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে সরে যাবে।