সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবনির্বাচিত দুই জয়ী বিধায়কের শপথ নিয়ে টানাপোড়েন এখনও চলছে। তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্য নিয়ে X হ্যান্ডলে কড়া প্রতিক্রিয়া রাজভবনের।
দুপাতার লম্বা বিবৃতিতে রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কদের গত ২৬ জুন শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই মতো ব্যবস্থাপনাও করা হয়েছিল। তবে সায়ন্তিকা কিংবা রেয়াত দুজনের কেউই আসেননি। শপথ গ্রহণ বিধানসভাতেই হোক এমন দাবি জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন বরানগরের নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা। তবে বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে মমতা দাবি করেন মহিলারা রাজভবনে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
[আরও পড়ুন: মাঝরাত অবধি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দেখে গঙ্গাস্নানে যাওয়াই কাল! তলিয়ে মৃত্যু যুবকের]
রাজ্যপালকে নিশানা করে তিনি বলেন, “জেতার পর একমাস ধরে বসে রয়েছেন আমার বিধায়করা। শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওঁদের নির্বাচিত করেছেন। শপথ নিতে না দেওয়ার কী অধিকার রয়েছে ওঁর? স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন রাজ্যপাল, অথবা ডেপুটি স্পিকারকে দেবেন, তা না হলে নিজে বিধানসভায় আসবেন! রাজভবনে কেন যাবেন সবাই? রাজভবনের যা কীর্তি, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমার কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।” যদিও রাজভবনের পাঠানো সায়ন্তিকার চিঠিতে কোথাও সেকথার উল্লেখ ছিল না। সেক্ষেত্রে কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে একথা বলতে পারেন, বিবৃতিতে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শপথ জটিলতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যেন রাজ্যপালকে নির্দেশ দেন, যাতে তিনি স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেন। চিঠিতে রয়েছে, রাজ্য়পাল চাইলে নিজে বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। এই পর্বে অনুঘটকের ভূমিকায় জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল, আবার বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগাযোগ পর্ব চলছে রাজ্য বিধানসভার।