অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস। সোমবার সকালে একই লাইনে চলে আসে দুটো ট্রেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে জোরে ব্রেক কষার জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীরাও বেজায় ভয় পেয়ে যান। এদিকে বার বার এধরনের ঘটনা ঘটায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন যাত্রীরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি সংলগ্ন বেলাকোবা ও সাহুডাঙ্গির মাঝে আমবাড়ি মোরে ডাউন লাইনে অসমগামী একটি তেলবাহী মালগাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তা দাঁড়িয়ে পড়ে। এর পর একই লাইনে চলে আসে ১২৪২৩ ডিব্রুগড়-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। কিন্তু আমবাড়ি মোরের কাছে আসতেই চালক দেখতে পান ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মালগাড়ি। তখনই রাজধানী এক্সপ্রেসের চালকের তৎপরতায় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। কারণ চালক জোরে ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: RG Kar কাণ্ড: CBI-এর উপর চাপ বাড়ালেন কুণাল, ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন]
এ বিষয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কুমার শর্মা বলেন, "অটোমেটিক সিগন্যালিংয়ে একই লাইনে দুটো ট্রেন থাকা কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। একই লাইনে দুটো ট্রেন থাকতেই পারে। তবে মালগাড়িটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় সেটি দাঁড়িয়ে পড়েছিল। পিছনে গিয়ে সিগন্যাল না পেয়ে দাঁড়িয়ে পরে রাজধানী এক্সপ্রেসটি।" জানা গিয়েছে, পরে এনজেপি লোকোশেড থেকে রিলিফ ইঞ্জিন গিয়ে মালগাড়িটিকে এনজেপি স্টেশনে নিয়ে আসে। রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুন একইভাবে রাঙাপানি এলাকায় ডাউন লাইনে মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন একই লাইনে চলে আসায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। তারপর ওই লাইনেই পরপর দুটো মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এবার ফের এক লাইনে দুটো ট্রেন চলে আসায় প্রশ্ন উঠছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে।