সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্ত্যে দেবতার সম্মান পান তিনি৷ অস্ত্র ধারণ না করেই একটা গোটা মহাযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিয়েছিলেন৷ অর্জুনকে দিয়েছিলেন মাহমূল্যবান গীতার জ্ঞান৷ সেই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত আজকের প্রজন্মও৷ এত কিছুর পরও অনেকের যুক্তিতে সমালোচনার পাত্র দ্বারকাধীশ৷ কিছুদিন আগেই এমনই এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ৷ তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের মতো ব্যক্তিত্বকে গোপীদের ‘টিজ’ করতে দেখেই আমরা বড় হয়েছি৷ সাম্প্রতিক অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের যুক্তি অনুযায়ী তা অপরাধের বিষয়৷ এই মন্তব্যের জেরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বর্ষীয়ান আইনজীবীকে৷ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি৷
[ফসল বাঁচাতে বন্যপ্রাণী নিধনে কি ছাড়পত্র দিচ্ছে কেন্দ্র ?]
কিন্তু সেই বিতর্কের রেশ এখনও চলছে৷ প্রশান্ত ভূষণের সমালোচনা করতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের ১৬,১০৮ স্ত্রী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম৷ এই প্রসঙ্গে ভাগবত পুরাণের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে৷ ওই সংস্থার দাবি, ভগবান বিষ্ণুর এই অবতার আসলে সমাজে নারীর সম্মান রক্ষা করতেই বহু বিবাহ করেছেন৷ আদতে রুক্মিনী, সত্যভামা-সহ শ্রীকৃষ্ণের মোট আটজন স্ত্রী ছিলেন৷ কিন্তু সে সময় নরকাসুর নামে এক অসুর হঠাৎ ১৬,১০০ জন অবিবাহিত যুবতীকে অপহরণ করে নেয় এবং সকলকে নিজের যৌনদাসী করে রেখে দেয়৷ খবর যখন বাসুদেবের কাছে পৌঁছয়, নরকাসুরকে যুদ্ধে বধ করে যুবতীদের উদ্ধার করে আনেন তিনি৷ কিন্তু সে সময়ের সমাজ ওই যুবতীদের ফের মর্যাদা দিয়ে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে৷ অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুবতীরা৷ তখন তাঁদের সামাজিক স্বীকৃতি দিতেই সকলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন গোবিন্দ৷
[অনলাইনেই পাতা যৌনচক্রের ফাঁদ, পা দিচ্ছে ভারতীয় ছাত্রীরা]
রাসলীলা নিয়েও শ্রীকৃষ্ণের সমালোচনা কম-বেশি হয়ে থাকে৷ এই প্রসঙ্গে ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, কৃষ্ণ যখন বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় গিয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১০৷ সেই বয়সের এক বালকের খুনসুটিকে কখনও ইভটিজিংয়ের নাম দেওয়া যায় না৷ আর মথুরায় আসার পর কোনওদিন বৃন্দাবনে ফিরে যাননি মধুসূদন৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় রটনা লোকশ্রুতির ফল বলেই দাবি বেসরকারি সংস্থার৷
[শুধু পরকীয়া নয়, অনুপম খুনের নেপথ্যে অন্য স্বার্থ ছিল মনুয়ার]
The post জানেন, কেন শ্রীকৃষ্ণের ১৬,১০৮ জন স্ত্রী ছিলেন? appeared first on Sangbad Pratidin.