সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভে বিয়ের মহাআসর! একেবারে বৈদিক রীতি মেনে প্রয়াগরাজে চারহাত এক হল গ্রিসের তরুণী পেনেলোপে ও ভারতের সিদ্ধার্থের। সাধু-সন্তদের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয় এই বিয়ের আয়োজন। এমনকি বিয়ের আসরে কন্যাদানের দায়িত্ব পালন করলেন জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর জ্যোতিন্দ্রনন্দ গিরি।

১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে বসেছে মহাকুম্ভের আসর। হিন্দুধর্মের পবিত্র এই তীর্থক্ষেত্রে উপস্থিত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ সাধু-সন্তের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ। আস্থার ডুব দিচ্ছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। নবজীবন শুরু করতে পবিত্র এই তীর্থক্ষেত্রকেই বেছে নিয়েছিলেন গ্রিসের পেনোলোপে ও ভারতের যোগ প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ শিব খান্না। সেই মতো জুনা আখড়ার বিয়ের আয়োজনের প্রস্তাব রাখেন তিনি। গত ২৬ জানুয়ারি একেবারে বৈদিক রীতি মেনে মন্ত্রোচ্চারণ, সাতপাক ও সিঁদুর দানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই বর-কনেকে আশীর্বাদ করেন আখড়ায় উপস্থিত সাধুরা।
এই বিয়ে প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থ বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম আমাদের বিয়েটা অভিনবভাবে হোক। যার জন্যই মহাকুম্ভকে বেছে নেই আমরা। আমরা জানতাই এই সময় হয় দেশতো বটেই গোটা বিশ্ব তথা ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে পবিত্র জায়গা এই প্রয়াগরাজ। যা তীর্থস্থান তো বটেই এখানে বহু মাহাত্মারা এসে উপস্থিত হন। আমরা মহারাজ জ্যোতিন্দ্রনন্দ গিরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর আশীর্বাদ নিয়েছি।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিয়ে এক পবিত্র প্রতিষ্ঠান। যা বোঝায় পুরুষ ও মহিলা একে অপরের পরিপূরক। প্রাচীন রীতি মেনে সেই অনুষ্ঠান পালন করা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের। বৈদিক রীতি মেনেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে আমাদের। আমরা দুজনেই অত্যন্ত খুশি।
বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে বৌদ্ধধর্ম ছেড়ে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন পেনেলোপে। তিনি বলেন, "আমার জন্য এই বিয়ে সুখি জীবন যাপনের একটি প্রতিষ্ঠান। আমি বহু বছর ধরে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে এসেছি। পরে বুঝতে পারি সব কিছুই সনাতন ধর্ম থেকে এসেছে। তাই স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্মের মূল স্রোতে ফিরে এসেছি আমি।" আগামী ২৯ জানুয়ারি ত্রিবেণীতে পবিত্র স্নান সেরে দাম্পত্য জীবনে পা রাখবেন এই নবদম্পতি।