অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে ও বুঝতে ‘ক্যাম্পাস মাদার’ কর্মসূচি চালু করতে চলেছে খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রাতে খড়্গপুর আইআইটির নতুন অধিকর্তা অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী এই কর্মসূচি চালুর বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে বসবাসরত অনেক মা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইচ্ছুক হবেন তাঁদের এই কর্মসূচিতে যুক্ত করা হবে।’’ এই মুহূর্তে খড়্গপুর আইআইটিতে ১৬ হাজারের বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। তাঁরা ক্যাম্পাসের মধ্যে ২১টি আবাসনে থাকেন। এজন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করে প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিক স্পর্শ মিলিয়ে এক পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বস্তরের পড়ুয়াদের যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। আর এই যোগাযোগ গড়ে তুলবেন ক্যাম্পাস মাদার কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়া মায়েরা। তাঁরা নিজেদের মতো করে নিজস্ব পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলে প্রত্যেকের মানসিক স্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবহিত হবেন। তার মধ্যে যে সমস্ত পড়ুয়ার মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা যাবে তাঁদের চিহ্নিত করে আলাদা করা হবে। তারপর মায়েদের দিয়ে সেই সমস্ত পড়ুয়াদের মানসিক সমস্যার সমাধান করা হবে।
খড়্গপুর আইআইটির অধিকর্তা অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রত্যেক মায়ের নিজস্ব একটি পদ্ধতি রয়েছে শাসন ও তত্ত্বাবধান করার। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে মায়েরা নিজেদের মতো করে পড়ুয়াদের মানসিক সমস্যার সমাধান করবেন। সেজন্য মায়েদের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’ কর্মসূচির জন্য কোনও প্রাক্তনীর সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে একটি তহবিল গঠন করা হবে। এই তহবিল থেকে মায়েদের নূন্যতম একটি সাম্মানিক যেমন দেওয়া হবে, তেমনই এই তহবিল থেকে কিছু টাকা মায়েদের পড়ুয়াদের নিয়ে সপ্তাহান্তে কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা খাওয়া দাওয়ার জন্য দেওয়া হবে। তাঁর মতে, কেবল ক্যাম্পাসে আবদ্ধ থেকে পড়ুয়াদের মনের সব কথা জানা সম্ভব নয়। সেজন্য এই ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা।
