সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক অবসাদ ক্রমশ গ্রাস করছে সাধারণ মানুষকে। তা সে কিশোর-কিশোরী হোক কিংবা বয়স্ক। ক্রমশ বাড়ছে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা। ঠিক যেমন রাসবিহারীর বাসিন্দা দশম শ্রেণির স্কুলপড়ুয়া প্রাণহানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাউন্সেলিং সত্ত্বেও লাভ হয়নি কিছুই। তার আগেই সব শেষ। তাই মনরোগকে অবহেলা করবেন না। পরিবর্তে আপনার সন্তানের দিকে খেয়াল রাখুন।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন কারণে মানসিক অবসাদের শিকার হয় কিশোর-কিশোরীরা?
* সময় যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে প্রতিযোগিতা। ক্রমশ বাড়ছে পড়াশোনার চাপ। সামান্য পিছিয়ে পড়লে বকাঝকা শুরু করেন বহু অভিভাবক। তার ফলে বাড়ছে মানসিক অবসাদ।
* বর্তমানে ছোটদের খুব ব্যস্ত শিডিউল। একের পর এক ক্লাস সামলাতে গিয়ে ক্লান্ত তারা। তার ফলে খুব সহজে মানসিক অবসাদ গ্রাস করে তাদের।
* নিজের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তির ফলে মানসিক অবসাদ গ্রাস করে অনেককে।
* আর্থিক সমস্যার ফলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন কেউ কেউ।
কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তানকে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছে?
* মানসিক অবসাদগ্রস্তদের কেউ কেউ খাবার খাওয়া ছেড়ে দেন। আবার কারও খিদে পায় বেশি। কিশোর সন্তানের মধ্যে এমন বদল দেখলে সাবধান হোন।
* যে জিনিসগুলি সে আগে ভালোবাসত, সেগুলির প্রতি আগ্রহ হারালে মানসিক অবসাদ গ্রাস করে থাকতে পারে সন্তানকে।
* কারও সঙ্গে সন্তান কথা বলতে না চাইলে সাবধান হোন।
* কিশোর সন্তান হঠাৎ মদ্যপান কিংবা ধূমপান শুরু করলে সে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারে।
* কিশোর সন্তান নিজেই নিজের ক্ষতি করলে সাবধান হোন।
এমন নানা উপসর্গ দেখলে আজই সাবধান হোন। তড়িঘড়ি সন্তানকে মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত করুন। নইলে ভবিষ্যতে বড়সড় কোনও ক্ষতি হতে পারে।
