সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূর-দেশে থেকেও ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে চাইছেন এমন দম্পতিদের মধ্যে ইন্টারনেট-ভিত্তিক গ্যাজেটের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই রিমোট চালিত সেক্স টয়ও হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হতে পারে। যে কারণে ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য তাদের হাতে যেমন পড়তে পারে, তেমনই সাইবার অপরাধীরা গ্যাজেটের কম্পনের তীব্রতা পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে গুরুতর শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
ব্রিটেনের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি বিভাগ (ডিএসআইটি)-এর একটি রিপোর্টে এই ব্যাপারটি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ডিভাইসগুলোর আনএনক্রিপ্টেড সংযোগের কারণে ‘তৃতীয় পক্ষ’ বিপদে ফেলতে পারে এর ব্যবহাকারীদের। এই গ্যাজেটগুলোতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি স্মার্টফোন দ্বারা নিয়ন্ত্রণে সমর্থ। এতে প্রায়শই শক্তিশালী এনক্রিপশনের অভাব থাকে, যা হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। ডিএসআইটির রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, হ্যাকাররা কীভাবে একজন ব্যবহারকারীর ডিভাইসের দখল নিতে পারে এবং এর কার্যকারিতা হেরফের করতে পারে। রিপোর্টে এই গ্যাজেটগুলোর গ্রাহক-সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, হ্যাকাররা সহজেই দূর থেকেই ডিভাইসের কম্পনের তীব্রতা পরিবর্তন করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
তাছাড়া, এই ডিভাইসগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত সহযোগী অ্যাপগুলো সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। এই অ্যাপগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই অসুরক্ষিত তৃতীয় পক্ষের সার্ভারে সংবেদনশীল তথ্য, যার মধ্যে স্পষ্ট ছবি এবং চ্যাটও রয়েছে সংরক্ষিত হয়। এই দুর্বলতাগুলি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের কাছে অত্যন্ত অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে। কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষক মার্ক কোটি বলছেন যে অন্যান্য অ্যাপ,– যা ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা এবং শিশুর বিকাশ ট্র্যাক করে, একই ধরণের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। ডিএসআইটি ব্রিটেনের সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, সমস্ত ইন্টারনেট-ভিত্তির ডিভাইসের জন্য আরও ভালো সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।
