সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্যের মূল ভিত্তিই হল বিশ্বাস-ভরসা। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হবে না, তা হয় নাকি? নিজেদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিলেই অনেকে নিজেদের ব্যক্তিগত কথা তুলে ধরেন বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের কাছে। কিন্তু দাম্পত্যের ক্ষেত্রে সর্বদা মাথায় রাখতে হবে, নিজেদের কতটা বাইরের মানুষকে জানানো উচিত, কতটা নয়। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক, স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঠিক কোন কথাগুলো ভুলেও তৃতীয় কাউকে জানানো উচিত নয়।
১. প্রত্যেকেরই ভুল-ত্রুটি থাকে। কেউই পারফেক্ট নন। সঙ্গী যে সেই ভুলভ্রান্তি, সমস্যা, দুর্বলতাগুলো জানবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাথায় রাখবেন, এটা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। দুজন বাদে কারও এবিষয়ে জানার অধিকারই নেই। তা সত্ত্বেও অনেকেই নিজেকে অসহায় প্রমাণ করতে বন্ধুদের কাছে সঙ্গীর দুর্বলতা, ভুল তুলে ধরেন। ভুলেও এই কাজ করবেন না। বিষয়টা কোনওভাবে সঙ্গী জানতে পারলে, তাঁর মন ও বিশ্বাস ভঙ্গ হবে, হাজার চেষ্টাতেও আর স্বাভাবিক হবে না সম্পর্ক।
২. দাম্পত্যকলহ খুব স্বাভাবিক বিষয়। দুজন মানুষের সবসময় মতের মিল হওয়া কার্যত অসম্ভব। তবে নিজেদের মধ্যে অশান্তি হলেই ভুলেও তা তৃতীয় কাউকে জানাবেন না। মনে রাখবেন, কিছুক্ষণ পর হয়তো আপনাদের ঝামেলা মিটে যাবে। কিন্তু যাকে অশান্তির কথা বলছেন, তিনি সারাজীবন মনে রাখবেন। আপনার সঙ্গী সম্পর্কে তাঁর মনে অন্যরকম ধারণা তৈরি হবে। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।
৩. বিয়ের ক্ষেত্রে অর্থ, কেরিয়ার একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু ভুলেও সঙ্গীর, আয়-ব্যায়ের হিসেব অন্যকে দেবেন না। এতে বিশ্বাস নষ্ট হয়।
৪. আপনার বেডরুমে কী হচ্ছে, তা যেন কোনওভাবেই বাইরে না যায়। এমনকী মজার ছলেও বন্ধুবৃত্তে এবিষয়ে আলোচনা করবেন না। মনে রাখবেন, জীবনের কিছু জিনিস একান্ত ব্যক্তিগত।
৫. সঙ্গী নিজের ব্যক্তিগত আবেগ, ভালোলাগা, খারাপ লাগা আপনার কাছে শেয়ার করবে সেটাই স্বাভাবিক বিষয়। সেগুলো যদি অন্য কাউকে বলেন, তাহলে তা সঙ্গীর প্রতি অন্যায়। যদি সঙ্গী আপনাকে বিশ্বাস করে কোনও কথা জানাতে না পারে, তাহলে সম্পর্ক যে কোনওভাবেই মজবুত হতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য। তাই সুখী দাম্পত্য চাইলে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই কয়েকটা বিষয়।
