সন্দীপ চক্রবর্তী ও তরুণকান্তি দাস: মর্নিং শোজ দ্য ডে। সকালই ইঙ্গিত দিয়ে দিল, যে লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রথম দিনই তা পূরণে একধাপ এগিয়ে গেল বাংলা। রাজ্যের বাণিজ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ঢালাও প্রশংসা করে আরও বিনিয়োগের আশ্বাস দিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির প্রধান মুকেশ আম্বানি। নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনই তাঁর ঘোষণা, রাজ্যে লজিস্টিক হাব তৈরিতে আরও ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স। তৈরি হবে ই-কমার্স। যাতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
সাপুরজি মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই অন্তত ৫০টি দোকান
রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে গত ৫ বছর ধরে প্রায় আন্তর্জাতিক মানের বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরও তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শহরে এসেছেন দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা। মুকেশ আম্বানি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কাদের পাশাপাশি বিদেশি লগ্নিকারীরাও হাজির কনভেনশন সেন্টারে। আজ মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন করে তাঁদের প্রতি বার্তা দেন, বাংলা মানেই এখন বাণিজ্য। তা বিস্তার করতে পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই করেছে রাজ্য সরকার। বাংলায় আরও বিনিয়োগ করতে তাঁদের আহ্বান জানান। এরপরই শিল্প গঠনে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন মুকেশ আম্বানি। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি’ সম্বোধন করে তাঁর কথায়, ‘ আশা দেখাচ্ছে বাংলা। এখানে রিলায়েন্স ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ কর্মসংস্থান করেছে। লজিস্টিক হাব-সহ একাধিক খাতে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার লজিস্টিক হাব তৈরি হবে। ই-কমার্স ক্ষেত্রে পা রাখছে রিলায়েন্স। তাতে আরও বাড়বে কর্মসংস্থান।’ শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, ‘এরাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও ২৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। বাংলা মানেই বাণিজ্য – এই কথা এখন প্রমাণিত। শ্রম আর মেধার অভাব নেই এখানে। আগামী দিনে বাংলার শিল্প ক্ষেত্র আরও এগোবে, এই ভরসা রাখি।’ গত ৫ বছর ধরে রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামোর সঙ্গে কমবেশি পরিচিত হওয়ায়, বিদেশি শিল্পপতিরাও উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
শাড়ি পরে মহিলা বাথরুমে, শ্লীলতাহানি করতে গিয়ে দমদমে ধৃত পুরুষ
এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিদের জন্য চালু হল MSME রিড্রেসাল অ্যাপ। যার মাধ্যমে জেলার ছোট শিল্পপতিদের সঙ্গে রাজ্যের শিল্পমহলের যথাযথ সমন্বয় থাকবে। এছাড়া দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ই-কমার্সের আওতায় আনা হচ্ছে খাদি শিল্পকে। আজ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। ফলে খাদির সামগ্রী রাজ্য এবং দেশের বাইরে আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা। এই প্রথমবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নেই কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিগত বছরগুলিতে অরুণ জেটলি, নীতিন গড়করিদের মতো হেভিওয়েটরা মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই সম্মেলনে এসে প্রশংসা করেছেন।
ছবি: পিন্টু প্রধান
The post রাজ্যে বিনিয়োগের রাস্তা আরও চওড়া, বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষণা মুকেশ আম্বানির appeared first on Sangbad Pratidin.