সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহু এবং কেতু! নাম দুটো শুনলেই অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের এই দুই রহস্যময় ছায়াগ্রহকে অনেকেই জীবনের আকস্মিক ভাগ্য পরিবর্তনের কারণ মনে করেন। যারা জীবনে এই দুই গ্রহের কু-প্রভাব কাটাতে চান। কিংবা জীবনের দুঃখ-দুর্দশা কাটিয়ে কপাল ফেরাতে উদ্যোগ করছেন, তারা এই মন্দিরগুলি ঘুরে আসুন। ভারতে এমন কিছু প্রাচীন মন্দির রয়েছে, যা রাহু ও কেতুর বিগ্রহে উজ্জ্বল। কথিত আছে, এই মন্দিরগুলি একবার দর্শন করলে নাকি ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। শুধু তাই নয়, কপাল ফেরে ভক্তের। জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অবশ্যই দর্শন করুন এই মন্দিরগুলি।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকালহস্তীশ্বর মন্দিরটি দেশের অন্যতম শৈব তীর্থক্ষেত্র। এখানে ভগবান শিবকে কালহস্তীশ্বর রূপে পূজা করা হয়। এই স্থানটি রাহু-কেতু ক্ষেত্র নামেও পরিচিত। একে দক্ষিণ কৈলাসম বলা হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান শিবের ভক্ত কানাপ্পা নায়নর এখানে তাঁর চোখ উৎসর্গ করেছিলেন এবং মোক্ষ লাভ করেছিলেন।
তামিলনাড়ুর তিরুনাগেশ্বরম নাগনাথর মন্দির রাহু স্থলম নামে পরিচিত। এটি কুম্বাকোনামের কাছে অবস্থিত একটি শিব মন্দির। এটি নবগ্রহ স্থলের মধ্যে অন্যতম, যা রাহু গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে। এই মন্দিরে ভগবান শিব 'নাগানাথার' এবং তাঁর সঙ্গী পার্বতী 'পিরাইসূদি আম্মান' রূপে পূজিত হন।
শ্রীনাগানাথস্বামী মন্দিরটি কেতু স্থলম নামে পরিচিত। তামিলনাড়ুর পুহুমপুহার থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে মন্দিরটি অবস্থিত। এটিও নবগ্রহ মন্দিরের অন্তর্ভুক্ত। কেতু গ্রহের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত। এখানে ভগবান শিবের রূপ নাগানাথা স্বামী পূজিত হন।
তেলেঙ্গানার রাহু কেতু মন্দিরটি রাহু ও কেতু উভয়ের জন্যই প্রসিদ্ধ। ভক্তরা এখানে জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে এবং শান্তির জন্য আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।
তামিলনাড়ুর শ্রী নীলকণ্ঠেশ্বর মন্দিরে ভগবান শিবের নাম নীলকণ্ঠেশ্বর এবং দেবী পার্বতীর নাম আদি কামাক্ষী। এই মন্দিরের অভ্যন্তরে একটি কেতু মন্দির রয়েছে। ভক্তরা এখানে কেতুকে পুজো দিয়ে প্রসন্ন করেন।
উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত রাহু মন্দিরটিবেশ পরিচিত। শান্ত পরিবেশে ভক্তরা রাহুর দোষ কাটাতে ধ্যান ও নানা আচার পালন করেন।