সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো, কালীপুজো সবেমাত্র মিটেছে। এবার পালা ছটপুজোর। মূলত অবাঙালিরাই ছটপুজো করে থাকেন। সংসারের শ্রীবৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনায় সূর্য দেবতা এবং দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করেন তাঁরা। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে চারদিন ধরে ছটপুজো হয়। জেনে নিন চলতি বছর কবে থেকে শুরু হবে ছটপুজো।
আগামী ২৫ অক্টোবর, শনিবার কার্তিক মাসের শুক্ল চতুর্থীতে পবিত্র স্নান এবং সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ। এই রীতিকে বলে নহায় খায়। যাঁরা ছটপুজো করেন তাঁরা এদিন লাউ এবং ছোলার ডাল দিয়ে ভাত খান।
রবিবার থেকে শুরু নির্জল উপবাস। আর তার মাধ্যমে শুরু হবে ৩৬ ঘণ্টার কঠিন ব্রত। সূর্যাস্তের পর গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, রুটি, ফল খেয়ে উপবাস ভাঙেন মহিলারা। এই রীতি খরনা নামে পরিচিত।
সোমবার সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন। ওইদিন সূর্যাস্তের সময় প্রায় ৫টা ৪০ মিনিট। সন্ধ্যা অর্ঘ্যের সময় কোমর পর্যন্ত জলে নামেন মহিলারা। জলে দাঁড়িয়ে সূর্যকে প্রণাম করে পরিবারের সুখসমৃদ্ধি কামনা করেন। এটি মূল ছট পুজো হিসাবে ধরা হয়।
মঙ্গলবার কার্তিক মাসের শুক্ল সপ্তমীতে সূর্যোদয়ের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন। ওইদিন প্রায় ৬টা ৩০ মিনিটে সূর্যোদয়। এদিন সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের পর ৩৬ ঘণ্টার উপবাস ভঙ্গ করা হয়। এরপর মহিলারা প্রসাদ ভক্ষণ করেন।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ছটপুজো নিয়ে নানা পৌরাণিক কাহিনি। রামায়ণে কথিত রয়েছে, বনবাস থেকে ফেরার পর শ্রীরামচন্দ্র এবং সীতাদেবী সূর্যদেবের আরাধনা করেছিলেন। আবার মহাভারত অনুযায়ী, পাণ্ডবরা বনবাসে থাকাকালীন অন্নকষ্ট দূর করকে রাজপুরোহিতের পরামর্শে সূর্যের আরাধনা করেন। রাজা প্রিয়ব্রতর গল্প অনুসারে, নিঃসন্তান রাজা প্রিয়ব্রত মহর্ষি কাশ্যপের পরামর্শে যজ্ঞ করেন। কিন্তু রানি মালিনী মৃত সন্তানের প্রসব করেন। ব্রহ্মার মানসপুত্রী ষষ্ঠীদেবী আকাশ থেকে এসে শিশুকে আশীর্বাদ থেকে বাঁচিয়ে তোলেন। তখন থেকেই রাজা এই দেবীর পুজো শুরু করেন। কেউ কেউ ছটি মাইয়াকে সূর্যদেবের বোন বলে মনে করেন। তাই ছটপুজোয় একসঙ্গে সূর্যদেব এবং ছটি মাইয়ার আরাধনা হয়।
