shono
Advertisement
Ras Yatra

রাসযাত্রা কবে? জেনে নিন রাধাকৃষ্ণের প্রেমের উৎসবের মাহাত্ম্য

রাসযাত্রাকে কেন্দ্র করে কোথাও কোথাও মেলাও বসে।
Published By: Sayani SenPosted: 07:45 PM Nov 02, 2025Updated: 07:46 PM Nov 02, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসব আসলে অন্তহীন। এই যেমন রাসযাত্রা। যার ঐতিহ্য, অহংকার দুর্গা বা কালীপুজোর থেকে কোনও অংশে কম নয়। উত্তরে কোচবিহার থেকে ভাগীরথীর দু’পার নবদ্বীপ বা শান্তিপুর। কিংবা দক্ষিণের তমলুক বা ঘাটাল। বৃন্দাবন থেকে শ্রীকৃষ্ণের যে লীলা শুরু হয়েছিল তা এখন সর্বজনের।

Advertisement

কার্তিক পূর্ণিমার রাত বৈষ্ণবদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র, প্রিয়। এরাতেই তাদের প্রাণের উৎসব রাস পালিত হয়। তবে কীভাবে শুরু হল রাসযাত্রা। রাস কথার অর্থই কী। বলা হয় ‘রস’ থেকেই রাসের উদ্ভব। রস অর্থে সার, নির্যাস, আনন্দ, আহ্লাদ, অমৃত ও ব্রহ্ম বোঝায়। ‘তৈত্তিরীয়’ উপনিষদে রস সম্পর্কে বলা হয়েছে “রসো বৈ সঃ’’। অর্থাৎ ব্রহ্ম রস ছাড়া আর কিছুই নন। বৈষ্ণব দর্শনে এই রস বলতে মধুর রসকেই বোঝানো হয়েছে। আর শ্রীকৃষ্ণ হলেন সেই মধুর রসের ঘনীভূত আধার। তাঁকে ঘিরেই রাস। রাস কথাটির আভিধানিক অর্থ হল নারী-পুরুষের হাত ধরাধরি করে মণ্ডলাকারে নৃত্য।

তবে বৈষ্ণবদের কাছে রাস কথাটির অর্থ একটু আলাদা। পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ গোপিনীদের আহ্বান করেন এবং তাদের অহংবর্জিত বিশ্বাসভক্তি ভাবে তুষ্ট হয়ে সঙ্গদান করেন। তাই বৈষ্ণবদের কাছে রাস আসলে ভক্ত এবং ভগবানের মিলন উৎসব। এই উৎসব নিয়ে শ্রীমদভাগবত বলছে রাসে বৃন্দাবনে গোপিনীদের সঙ্গে লীলা করতেন শ্রীকৃষ্ণ। যেখানে পুরুষদের প্রবেশাধিকার ছিল না। দেবাদিদেব মহাদেবের কৌতূহল হয়েছিল কৃষ্ণের কী এমন আকর্ষণ যে সেখানে মহিলারা যান। সেই রসের টানে মহাদেব ছদ্মবেশে গোপিনীদের সঙ্গে রাসঅঙ্গনে প্রবেশ করেন। শ্রীকৃষ্ণ অন্তর্যামী। বুঝতে পারেন অন্য কোনও পুরুষ এসেছেন। মাঝপথে চলে যান শ্রীকৃষ্ণ। ভেঙে যায় রাস। এভাবে রাসের ছন্দ নষ্ট হওয়ায় গোপিনীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা রাসঅঙ্গণের পাশে একজন মহিলাকে ঘোমটা দিয়ে অবস্থায় দেখেন। ঘোমটা তুলে মহাদেবকে দেখে তারা অবাক হয়ে যান। এরপর গোপিনীদের রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়েন শিব। গোপিনীরা মহাদেবকে বলেন তোমার জন্য রাস ভেঙে গেল। অপমানিত হয়ে বেরিয়ে যান মহাদেব। বলে যান রস আমি পৃথিবীতে নিয়ে যাচ্ছি। ওখানে সাধারণ মানুষকে রাসদর্শন করাব। সেই থেকে ধরাধামে রাসের প্রসার হয়। এখনও সেই রীতি অব্যাহত।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা চলতি বছর রাসপূর্ণিমা তিথি শুরু ৪ নভেম্বর রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে। তিথি শেষ ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ৪ নভেম্বর রাত ৯টা ২২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শুরু রাসপূর্ণিমা তিথি। পরদিন অর্থাৎ ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে শেষ পূর্ণিমা তিথি। এই তিথিতে রাধাকৃষ্ণের পূজার্চনা হয়। কোথাও কোথাও আবার মেলাও বসে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রাধাকৃষ্ণের প্রেমের উৎসবে রাসযাত্রা পালন করা হয়।
  • বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা চলতি বছর রাসপূর্ণিমা তিথি শুরু ৪ নভেম্বর রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে।
  • গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ৪ নভেম্বর রাত ৯টা ২২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শুরু রাসপূর্ণিমা তিথি।
Advertisement