সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে অম্বুবাচীও হিন্দু ধর্মের একটি অন্যতম আচার। মেয়েরা প্রতি মাসেই রজঃস্বলা হন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, পৃথিবীকে মা বলা হয়। সনাতন বিশ্বাস মতে, ধরিত্রী মাতাও বছরের তিনদিন ঋতুমতী হন।
তবে এটি ধর্মীয় আচার হলেও প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থাও অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই ধর্মীয় আচারের সামাজিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। অম্বুবাচী খুব গভীরভাবে একটি কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠানও বটে। অনেকেই মনে করে, ঠিক যেমন ঋতুকাল কাটার পরই সন্তান ধারণে সক্ষম হন নারীরা তেমনই অম্বুবাচীর পরবর্তীকালও ফসল ফলানোর পক্ষে সবচেয়ে ভাল সময়।
প্রতিটি আচার পালনের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলেন অনেকেই। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় অম্বুবাচীও। এই সময়ে বেশিরভাগ হিন্দু পরিবারেও কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়। সংসারের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে কিছু কাজ এই তিনদিন করা হয় না। কিন্তু সেগুলি ঠিক কী, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন: রত্নভাণ্ডার খোলার কোনও প্রস্তাবই আসেনি, এএসআইয়ের দাবি ওড়াল ওড়িশা সরকার]
১. এই সময়ে কোনও বিশেষ পুজো হয় না। মূলত কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর মূর্তি কিংবা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখাই নিয়ম। তবে কামাক্ষ্যা মন্দিরে অম্বুবাচীর সময়ে বিশাল উৎসবের আয়োজন করা হয়।
২. এই সময়ে পুজো করতে করতে মন্ত্রপাঠ করা অনুচিত। শুধুমাত্র ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করতে হয়।
৩. অম্বুবাচীতে বাড়িতে কোনও শুভ কাজ না করাই শ্রেয়।
৪. বৃক্ষরোপণ কিংবা কৃষিকাজও এই সময়ে করতে নেই।
১. অম্বুবাচীতে গুরুপুজো করতে পারবেন।
২. গুরু প্রদত্ত মন্ত্রও অনায়াসে জপ করতে পারবেন।
৩. অম্বুবাচীতে তুলসী গাছে গোড়ার দিকে নজর দিন। ভাল করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন গোড়া। শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিতরা মন্ত্র পাঠও করতে পারেন।
৪. অম্বুবাচীর পর দেবীদের আচ্ছাদন খুলে নিতে ভুলবেন না। তারপর দেবীমূর্তি ভাল করে স্নান করিয়ে পুজো করবেন। দেবীকে আম এবং দুধ নিবেদন করলেই ভাল হয়।