shono
Advertisement
Jagaddhatri Puja 2025

সংসারের শ্রীবৃদ্ধি চান? জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে এই কাজগুলি করতে ভুলবেন না

যিনি সমগ্র জগতকে ধারণ করে রাখেন তিনি জগদ্ধাত্রী।
Published By: Sayani SenPosted: 06:39 PM Oct 27, 2025Updated: 06:39 PM Oct 27, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার পালা জগদ্ধাত্রী পুজোর। বাংলায় চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় বেশি। চারদিনের পুজো হলেও বাংলায় মূলত নবমীতেই হয় জগদ্ধাত্রী আরাধনা। এদিনই নিয়ম মেনে হয় পুজোপাঠ। শাস্ত্রজ্ঞদের মতে, সংসারের শ্রীবৃদ্ধিতে এদিন বেশ কয়েকটি নিয়ম পালন করা উচিত। জেনে নিন সেগুলি ঠিক কী।

Advertisement

** জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠুন।
** বাসি ঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে ফেলুন। পরে নিন শুদ্ধ বস্ত্র। উজ্জ্বল লাল কিংবা হলুদ বর্ণের পোশাক পরুন। কালো কিংবা সাদা রং এড়িয়ে চলুন।
** জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে বহু মহিলা উপবাস করেন। আর উপবাস করতে না পারলে নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত বলেই মত শাস্ত্রজ্ঞদের।
** সম্ভব হলে আপনার সাধ্যমতো সামগ্রী দিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রীকে অর্পণ করুন।
** এদিন দেবীকে শাড়ি দিলে লাল কিংবা হলুদ বর্ণের শাড়ি অর্পণ করুন।
** নবমীর দিন জগদ্ধাত্রী পুজো দেওয়ার পর আমলকি গাছ প্রদক্ষিণ করতে পারেন। তাতে মনোস্কামনা পূরণ হবে।
** বাড়িতে কোনও কন্যাসন্তান থাকলে তাকে এদিন উপহার দিতে পারেন।
** কোনও দরিদ্র মানুষকে সাধ্যমতো দান করুন।

জগদ্ধাত্রী শব্দের আভিধানিক অর্থ হল— জগৎ (ত্রিভুবন) ও ধাত্রী (ধারণকর্ত্রী)। অর্থাৎ, যিনি এই সমগ্র জগতকে ধারণ করে রাখেন। তিনি সত্ত্ব গুণের প্রতীক। মূলত অহংকার নাশ এবং জগতের রক্ষণ ও পোষণের জন্যই তিনি আবির্ভূতা হয়েছিলেন। তাঁর আবির্ভূতা হওয়ার পেছনে দুটি প্রধান পৌরাণিক কারণের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রথম ও বহুল প্রচলিত কাহিনিটি উপনিষদ এবং কাত্যায়নী তন্ত্রে বর্ণিত। মহিষাসুরকে বধ করার পর দেবতারা অত্যন্ত অহংকারী হয়ে ওঠেন। তাঁরা ভাবতে শুরু করেন, অসুর বধের সমস্ত কৃতিত্ব তাঁদেরই। কারণ দেবী দুর্গা তাঁদের সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ। দেবতাদের এই দর্প বা অহংকার চূর্ণ করার জন্যই দেবী তাদের সামনে আবির্ভূতা হন। ​তিনি দেবতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে একটি সামান্য তৃণখণ্ড তাঁদের দিকে ছুড়ে দেন। দেবতারা হাজার চেষ্টাতেও সেই তৃণ সরাতে পারেননি। ইন্দ্র বজ্র দিয়ে সেই তৃণ ধ্বংস করতে ব্যর্থ হন। অগ্নিদেব সেই তৃণটিকে দগ্ধ করতে করতে পারলেন না। বায়ুদেব তৃণটিকে উড়িয়ে ফেলতে অসফল হলেন। এমনকী বরুণদেবও তৃণটিকে জলস্রোতে ভাসাতে পারেননি। দেবতারা তখন বুঝতে পারেন যে, তাঁদের শক্তিও দেবীর থেকেই এসেছে। এই ঘটনার পরেই তাঁদের সামনে চতুর্ভূজা জগদ্ধাত্রী রূপে প্রকাশিত হন পরমেশ্বরী। তিনি প্রমাণ করেন, তিনিই এই জগতের ধারিণী বা পালিকা শক্তি।

আরেকটি মত পাওয়া যায় শ্রীশ্রীচণ্ডীতে। এই মত অনুসারে, যুদ্ধের সময় মহিষাসুর হাতির রূপ ধারণ করেছিল। সংস্কৃতে হাতির আরেক নাম ‘করী’। হস্তীরূপী এই অসুরকে বধ করার জন্যই দেবী চতুর্ভুজা মূর্তিতে আবির্ভূতা হন। তিনি তাঁর চক্র দিয়ে সেই হাতির শুঁড় ছেদন করেন। দেবীর এই রূপটিই জগদ্ধাত্রী নামে পরিচিত। সেই কারণে দেবীর বাহন সিংহ একটি মৃত হাতির (করীন্দ্রাসুর) উপর দাঁড়িয়ে থাকে। তাই দেবীর আরেক নাম হল করীন্দ্রাসুরনিসূদিণী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • চারদিনের পুজো হলেও বাংলায় মূলত নবমীতেই হয় জগদ্ধাত্রী আরাধনা।
  • জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে বহু মহিলা উপবাস করেন। আর উপবাস করতে না পারলে নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত বলেই মত শাস্ত্রজ্ঞদের।
  • বাড়িতে কোনও কন্যাসন্তান থাকলে তাকে এদিন উপহার দিতে পারেন।
Advertisement