সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই পৌষ অমাবস্যা। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পূর্বপুরুষদের নৈবেদ্য দেওয়ার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পৌষ অমাবস্যা। সংসারে সুখসমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে কিংবা জীবনের প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই দিনটিতে বিশেষ নিয়ম মেনে এগনো প্রয়োজন। তাতেই দূর হবে সংকট। মিলবে সুখশান্তি।
১৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার ভোর ৪টে ৫৯ মিনিটে অমাবস্যা তিথির শুরু। ২০ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ১২ মিনিটে অমাবস্যা তিথির শেষ। এদিনে অনেকেই গঙ্গাস্নান করেন। স্নানের শুভ সময় ভোর ৫টা ২৩ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ১৮ মিনিট।
শাস্ত্রজ্ঞদের মতে, পৌষ অমাবস্যায় কোন কোন নিয়ম মানা উচিত?
* পৌষ অমাবস্য়ায় অবশ্যই সন্ধ্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করুন। তাতে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে।
* এদিন সন্ধ্যায় ঘর অন্ধকার করে রাখবেন না। প্রবেশদ্বারে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালান। ওই প্রদীপের আশেপাশে কয়েকটি তিল অর্পণ করুন।
* পিতৃদোষ দূর করতে এদিন বটগাছ প্রদক্ষিণ করুন। ভুলেও গাছ স্পর্শ করবেন না। বটগাছের সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।
* রাহু, কেতুর কুনজর থেকে বাঁচতে তুলসিতলায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। 'ওঁ নমোঃ ভগবতে বসুদেবায় নমোঃ' জপ করুন।
* আপনার বাড়িতে থাকা সিংহাসনের সামনে প্রদীপ জ্বালান। ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোই ভালো। সঙ্গে ধূপ জ্বালিয়ে দেবী লক্ষ্মীকে আহ্বান জানান।
* জ্বলন্ত প্রদীপে একটি কর্পূর, লবঙ্গ এবং কাঁচা হলুদ দিন। তাতে নেতিবাচকতা দূর হবে।
* অবশ্যই সিংহাসনে তিল অর্পণ করুন। সঙ্গে দিন কয়েকটি চাল। তিল এবং চাল যাতে অক্ষত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সঙ্গে দিন একটি বা দু'টি সাদা অথবা হলুদ ফুল।
* সৌভাগ্য ফেরাতে অবশ্যই বাড়ির উত্তর দিকে প্রদীপ জ্বালান। রাতের দিকে ওই প্রদীপ কোনও পুকুরে ভাসিয়ে দিতে পারেন। তার ফলে জীবনের আঁধার কেটে আলো আসবেই।
