সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ার ভোর মানেই বাতাসে পুজোর গন্ধ। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনার সন্ধিক্ষণ। তবে এবারের মহালয়া অন্যান্যবারের থেকে একেবারে আলাদা। কারণ গত ১০০ বছরের ইতিহাসে যা কখনও ঘটেনি, তেমনটাই হতে চলেছে এবারের মহালয়ায়। এদিন সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকবে বিশ্ব।
আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া। পিতৃতর্পণের দিন। আর সেদিনই হবে সূর্যগ্রহণ (Solar eclipse)। জানা গিয়েছে, মহালয়ায় (Mahalaya) রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। গ্রহণ ছাড়বে পরেরদিন মধ্য়রাত ২টো ২৫ মিনিটে। যদিও এদেশ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে কানাডা, উত্তর আমেরিকা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলোম্বিয়া, কিউবা, পেরু, ডোমিনিকা, বাহামা উরুগুয়ে, ব্রাজিল-সহ বিভিন্ন দেশ এই সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকতে পারবে।
[আরও পড়ুন: ক্লাস চলাকালীন ভেঙে পড়ল ছাদের চাঙড়, করণদিঘিতে মাথা ফেটে আহত অন্তত ১৪ পড়ুয়া]
চলতি বছর ইতিমধ্যেই দুটি গ্রহণ হয়েছে। যদিও তা ভারত থেকে দেখা যায়নি। ২০ এপ্রিল সূর্যগ্রহণ এবং ৫ মে চন্দ্রগ্রহণের ছিঁটেফোঁটাও অনুভব করা যায়নি। আগামী ১৪ অক্টোবর বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণও দেখা হবে না ভারতবাসীর। সূর্যগ্রহণের দিন ১৫ পর আবার ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ।
বিজ্ঞানীদের মতে, গত ১০০ বছরে মহালয়ায় সূর্যগ্রহণের মতো মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষদের উদ্বেগকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দেবীপক্ষের সূচনায় সূর্যগ্রহণ কোনও অমঙ্গলের ইঙ্গিত নয় তো? রীতি মেনেই পিতৃতর্পণ করা যাবে তো? এমন সব প্রশ্নই উঠে আসছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, যেহেতু ভারত থেকে এই গ্রহণের দৃশ্যমানতা নেই, তাই তর্পণে কোনও বাধা নেই। তাছাড়া মহালয়ার সঙ্গে সূর্যগ্রহণের বৈজ্ঞানিক কোনও সম্পর্ক নেই।