সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই কার্তিক পুজো। গৃহস্থ বাড়িতে কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে কার্তিক পুজো হয়। সাধারণত গোটা বাংলায় কার্তিক পুজো সেভাবে বারোয়ারি রূপ ধারণ করেনি। তবে কাটোয়ায় সবচেয়ে বেশি এই পুজোর প্রচলন রয়েছে। শোনা যায়, সন্তানলাভের আশায় কার্তিক পুজো করেন অনেকে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কার্তিক পুজোর বেশ কয়েকটি নিয়ম মানা প্রয়োজন। নইলে উপকার পাওয়া যায় না।
* নবদম্পতিদের বাড়ির সামনে মশকরা করে কার্তিক ফেলে যান কেউ কেউ। তারপরই পুজোর আয়োজন করা হয়।
* আপনার প্রবেশপথেও কার্তিক ঠাকুর দেখে বিরক্ত হবেন না। পরিবর্তে তড়িঘড়ি কার্তিক ঠাকুর বাড়িতে ঢুকিয়ে নিন। পুজোর আয়োজন শুরু করুন।
* স্বামী, স্ত্রী একা একা কার্তিক পুজো করবেন না। অবশ্যই দম্পতিরা একসঙ্গে পুজো করুন। নইলে সুফল পাওয়া যাবে না।
* পুরোহিতের কথামতো পুজোর আয়োজন করতে পারলে খুবই ভালো। আর না পারলে অবশ্যই পাঁচ রকমের ফল কিনুন। সঙ্গে মিষ্টি নিবেদন করুন। অবশ্যই কার্তিক ঠাকুরের খেলনা অর্পণ করুন।
* কার্তিক ঠাকুরের পছন্দের ফুল রক্তকরবী। যদি এই ফুল না পাওয়া যায় তা হলে সাদা বা হলুদ করবী দিয়েও পুজো করতে পারেন।
* পুজোর সময় অবশ্যই বাঁশি, তীর-ধনুক এবং ময়ূরের পালক ঠাকুরের কাছে রাখবেন।
* কার্তিক পুজোর দিন তুলসি গাছকে ভুলেও অবহেলা করবেন না। তুলসি মঞ্চে অবশ্যই দু'বেলা জল নিবেদন করুন। সন্ধ্যায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।
* আপনার সন্তান কি পড়াশোনা করে? তাঁর পড়াশোনায় মনসংযোগ আরও বাড়াতে চাইলে কার্তিক ঠাকুরকে পাঁচটা ময়ূরের পালক নিবেদন করুন।
* ঠাকুরের সামনে রাখা ময়ূরের পালক পুজো শেষ হয়ে গেলে সন্তানের পড়াশোনার জায়গায় রেখে দিন। এর ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
* কার্তিক পুজোর দিন অবশ্যই দানধ্যান করুন। বিশেষত শিশুদের হাতে সাধ্যমতো ফল, চকলেট দিন।
