মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: তীব্র দাবদাহে নাজেহাল আমজনতা। গরম থেকে স্বস্তি পেতে সিংহভাগ মানুষের ভরসা পাখা। কিন্তু হাওড়ার রাজাপুর থানা এলাকার বানিবন ব্রাহ্মণপাড়া-সহ কয়েকটি বাড়িতে সন্ধে হলেই আর ঘুরছে না পাখা। ভোল্টেজের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, মোবাইলে চার্জ পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই ভোট বয়কটের ডাক দিলেন বানিবন ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, বিদ্যুতের সমস্যা না মিটলে তারা বুথমুখী হবেন না।
প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদের সময়ে ওড়ার রাজাপুর থানা এলাকার বানিবন ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে প্রথম বিদ্যুৎ ঢুকেছিল। তার পর কয়েক বছর ঠিকঠাক চলেছে। ধীরে ধীরে বেড়েছে গ্রাহকের সংখ্যা। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি পুরনো সেই ট্রান্সফরমার। এর জেরেই নাজেহাল হতে হচ্ছে ব্রাহ্মণপাড়া বাগ পাড়া, গায়েন পাড়া ও কুমোর পাড়ার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, ভোল্টেজ এতটাই কম থাকে যে আলো জ্বলে না। এমনকী এলইডি ল্যাম্পও জ্বলে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করতে হয় মোমবাতি, হারিকেন জ্বালিয়ে। কখনও কখনও সন্ধেয় মোবাইলে চার্জ পর্যন্ত দেওয়া যায় না। বিদ্যুতের সমস্যার কারণে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা, প্রতিবাদে পথে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা]
ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়ম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি বাসিন্দা রয়েছে গ্রামে। সকলেই নির্ভরশীল একটিমাত্র ট্রান্সফরমারের উপরে। প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে সমস্যার বিষয়ে। তারা ট্রান্সফরমার বদলের কথা বললেও বছর পর বছর কেটে গেছে, কিন্তু তা হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা ভোট বয়কটের পথে নেমেছি।" এবিষয়ে উলুবেড়িয়ার বিদ্যুৎ বিভাগে ফোন করলেও আধিকারিক ফোন ধরেনি। তবে উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিষয়টা শুনেছেন। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেটা দেখছেন।