সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব কিঞ্জল নন্দ। আন্দোলনের (RG Kar Protest) মুখ তিনি। এই কঠিন সময়ে যখন মন ভালো নেই কারোর, তখন সিনেমা বা সিরিজের প্রচার করা কতটা যুক্তিযুক্ত? সেই প্রশ্ন তুলে নেটপাড়ায় একাধিক টলিউড শিল্পীকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। সেই রোষানল থেকে বাদ যাননি অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, এমনকী সুপারস্টার দেবও। এবার নিজের নতুন সিরিজের প্রচার করতে গিয়ে কিঞ্জল নন্দ লিখলেন, 'জানি, অনেকেই বিরোধিতা করবেন।' তবে পাশাপাশি উদ্বিগ্ন অভিনেতা-ডাক্তারের প্রশ্ন, বিচার কি আদৌ মিলবে?
আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে প্রথম দিন থেকেই শামিল তিনি। পেশায় চিকিৎসক হলেও 'হীরালাল' ছবিতে অভিনেতা হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন কিঞ্জল নন্দ। সরকারি হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কিঞ্জল নিজেই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বলা যায়, এই আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী তিনি। এখনও আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। কিন্তু এর মাঝেও তো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হবে। অন্যান্য কাজে ফিরতে হবে। অন্তত অভিনয় পেশার খাতিরে কিছু প্রচারমূলক পোস্টও করতেই হয়। সেই প্রেক্ষিতেই কিঞ্জল নন্দ তাঁর নতুন সিরিজ 'কাঁটায় কাঁটায়'-এর প্রচারে একটি পোস্ট করেন শুক্রবার। কিন্তু সেই প্রচারেও ঝরে পড়ল একরাশ দুশ্চিন্তা।
[আরও পড়ুন: ‘সিবিআই চুপ! বিচার না পেলে আমার শহর ছেড়ে কথা বলবে না’, ঝাঁজালো সৃজিত]
পয়লা দিন থেকেই বিক্ষোভরত ডাক্তারদের সঙ্গে রয়েছেন কিঞ্জল নন্দ। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে 'কাঁটায় কাঁটায়'। সেই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিঞ্জল দত্তও। তবে আরজি করের ঘটনার পর এই বিষয়ে তেমন কোনও পোস্ট তাঁকে করতে দেখা যায়নি। বরং তাঁর প্রোফাইলজুড়ে শুধুই প্রতিবাদী ডাক। শেষমেশ শুক্রবার প্রচারমূলক একটি পোস্ট করেছেন। যদিও তাতেও জুড়ে রইল আর জি কর কাণ্ড। 'কাঁটায় কাঁটায়' সিরিজের লুক শেয়ার করে কিঞ্জল লিখেছেন, "আমি জানি এই মুহূর্তে এই ধরণের পোস্ট, অনেকেই বিরোধিতা করবেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা কেউই এরকম থাকতে চাই না। নতুন করে জীবনের ছন্দে ফিরতে চাই। কিন্তু চাইলেই তো আরে সব কিছু পাওয়া যায় না। যে বিচার আমরা চাইছি, সেখান থেকেও অনেক দূরে আমরা জানি। কিন্তু তবুও সবসময়ে একই জিনিস নিয়ে থাকতে থাকতে হতাশা গ্রাস করছে। আমি জানি এখানে অনেক সাধারণ মানুষের অবস্থা আমার মতোই। যে নৃশংস ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেটা সহজে আমরা কিছুতেই মন থেকে মুছে ফেলতে পারব না। তার মধ্যে যদি ইচ্ছে হয় দেখবেন। যদি ভালো লাগে পাশের মানুষটিকে বলবেন। আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। প্রতিবাদের আগুনটা যেন জ্বলতে থাকে। একজন পিকে বাসুর খুব প্রয়োজন।"