অর্ণব দাস, বারাসত: তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর থেকেই স্ক্যানারে তিনি। ইতিমধ্যে তাঁকে মোট ১১ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে কেন এখনও গ্রেপ্তার করা হল না সন্দীপকে, এবার সে প্রশ্ন তুললেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, "কেন ধরছে না কী জানি?"
সোমবার সেমিনার হলে ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে কেন এত ভিড়, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশও করা হয়। সাংবাদিক বৈঠক করে তার ব্যাখ্যা দেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ৫১ ফুটের ঘরে ৪০ ফুট কর্ডন করা ছিল। আর বাকি ১১ ফুটে সকলে উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিসি সেন্ট্রালের দাবির বিরোধিতা করেন। নির্যাতিতার বাবার দাবি, "ডিসি সেন্ট্রাল যা বলেছেন তা সত্যি নয়। দেহ উদ্ধারের প্রায় ঘণ্টাতিনেক পর মেয়ের কাছে পৌঁছতে পারি। তখন ঘরে শুধু পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ছিলেন।"
[আরও পড়ুন: ‘আন্দোলনের নামে লাশের রাজনীতি, যথাসময়ে প্রমাণ দেব’, বলছে কলকাতা পুলিশ]
মঙ্গলবার 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে'র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বুধবার গোটা রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যদিও ধর্মঘটের বিরোধিতা করেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, "বন্ধ করে কী হবে? আমরা বন্ধের পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নই।" সদ্য সন্তানহারা বাবা-মায়ের একটাই আর্জি, "রাজনীতি নয়, শুধু সুবিচার চাই।" মেয়ের হত্যাকাণ্ডের সুবিচার পেতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় নির্যাতিতার বাবা-মা।