সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) এক কারাগারে। আগুন লাগিয়ে, জেল ভেঙে বেরনোর চেষ্টা করল বন্দিরা। নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৮ বন্দি। জখম প্রায় ৪০ জন। কোভিড পরিস্থিতিতে কলম্বোর অদূরে মাহারা সংশোধনাগারে প্রচুর বন্দিকে আনা হয়েছিল। ভিড় বাড়ছিল সেখানে। এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দিরা আচমকাই খেপে ওঠে। রবিবার জেলের গরাদ ভেঙে বেরনোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে বাধ্য হয়ে তা কড়া হাতে দমন করে জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া খানিকটা উত্তপ্তই ছিল। কোভিড (COVID-19) আবহে কলম্বো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের মাহারা জেলে বন্দিদের ভিড় বাড়ছিল। জানা গিয়েছে, ১০ হাজার বন্দির জন্য ব্যবস্থা রয়েছে এই জেলে, অথচ এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৫ জন বন্দি কোভিড আক্রান্ত। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় করোনা সংক্রমণও উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্দিরা দাবি তুলছিল, তাদের নিরাপত্তা নেই। যে কোনও সময়ে তারাও সংক্রমিত হতে পারে। এই অবস্থায় রবিবার তা চরমে পৌঁছয়।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ধর্মান্তকরণের ভয়াবহ রূপ, পাঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা]
জানা গিয়েছে, জেলের রেকর্ড রুম ও রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বন্দিরা। এরপর গরাদ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে। নিজেদের কাজের সুবিধায় এক জেলরকে বন্দি করে রাখার চেষ্টাও করে বন্দিরা। কিন্তু তাতে সফল হয়নি। বন্দি-পুলিশ সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জখম হন ২ জেলরও। সবাই স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এসব দেখে জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা আরও কড়া হন। পরিস্থিতি দমনে পুলিশ বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে একাধিক নারী, বাজেট চিফ হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা]
পুলিশের মুখপাত্র অজিত রোহানা বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত বন্দিদের বিশৃঙ্খলা থেকে। জেলের দরজা ভেঙে তারা পালাতে চাইছিল। জেল কর্তৃপক্ষের আবেদন মেনে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।” এই মুহূর্তে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মাহারা সংশোধানাগার। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ কারা কর্তৃপক্ষের।