দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদে’র প্রভাব কাটতেই ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই মরশুমে সুন্দরবনে বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। হোটেলগুলিতেও ভিড় বাড়ছে ক্রমশ। বাঘ দেখার উৎসাহে ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে একের পর এক খাঁড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। তবে সৌভাগ্যবান কিছু পর্যটক প্রতিনিয়ত দেখা পান বাঘের। কিন্তু এবার আর বাঘ দেখতে জঙ্গলে নয়। বাঘই হাজির হয়েছে পর্যটকদের হোটেলের কাছে। বাঘের ভয়ে বেশ কিছু হোটেলের পর্যটকরা সারারাত আটকে থাকলেন ঘরের মধ্যেই। বাঘের ভয়ে পর্যটকদের এভাবে হোটেলে আটকে থাকার ঘটনা বিগত কয়েক বছরে চোখে পড়েনি। যা ঘটল শুক্রবার রাতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) সুন্দরবনের পিরখালি জঙ্গল থেকে পাখিরালয়ের সোনারগাঁ এলাকার লোকালয়বেষ্টিত জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। মৎস্যজীবীরা তা দেখতে পান। এলাকাবাসীকে সজাগ করেন তাঁরাই। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন হোটেলগুলিতে। আর পাখিরালায় দ্বীপে বাঘ ঢোকার খবরে আতঙ্ক বাড়ে পর্যটকদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: KMC Election: প্রতি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য শৌচালয়, নিকাশিতে জোর, পুরভোটে তৃণমূলের ইস্তেহারে ১০ ঘোষণা]
চেতলা থেকে ঘুরতে যাওয়া সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সারারাত খুব ভয়ে ছিলাম। হোটেলের মধ্যে দরজা দিয়েই পুরো বন্দি অবস্থায় রাত কাটিয়েছি। বাঘ নদী পেরিয়ে এইভাবে যে লোকালয়ে ঢুকে পড়বে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। শুধু তাই নয় বাঘ দেখার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সুন্দরবনে আসি। এখন বাঘ মনে হচ্ছে আমাদের দেখতে হোটেলে চলে আসছে।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার সুন্দরবনের কুলতলির জঙ্গলে ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। নদী পেরিয়ে ঠাকুরানি জঙ্গল থেকে বাঘ ঢুকে পড়ে কুলতলির একটি ধান বাগানে। তারপর তাকে ফাঁদ পেতে বনদপ্তরের কর্মীরা বাঘটিকে ধরেন। পরে অবশ্য বাঘটিকে কলস দ্বীপের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হানা। আতঙ্কিত পর্যটকরা।