স্টাফ রিপোর্টার: দলবদলু তৃণমূল (TMC) নেতাদের মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়াই বিধানসভা ভোটে হারের কারণ বলে প্রকাশ্যে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির (BJP) একাংশ। এবার সেই একই অভিযোগ আরএসএস (RSS) শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে। সংঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় বলা হয়েছে, ক্ষমতা বা প্রভাবের যথাযথ বিচার না করে তৃণমূল নেতাদের দলে টানাই বাংলায় বিজেপির হারের অন্যতম কারণ। পাশাপাশি কোভিড সংক্রমণকেও (Corona Pandemic) পরাজয়ের কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সংঘ মুখপত্র অর্গানাইজারে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘ব্যাড এক্সপিরিয়েন্স ইন বেঙ্গল’ শীর্ষক এই নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলায় লোকসভা ভোটে ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে থাকার পরও ৭৭ আসনে নেমে এসেছে বিজেপি। যার পিছনে তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ভূমিকা রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিজেপির একাধিক ভুল পদক্ষেপ। যার অন্যতম, কোনও বাছবিচার না করে তৃণমূল থেকে আগত নেতাদের দলে স্থান দেওয়া। এক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়তে পারে তা দেখা হয়নি। যাদের নেওয়া হয়েছে তাদের দক্ষতাও বিচার করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধে। বলা হয়েছে, ভোটের শেষ দুটো দফায় করোনা বাড়বাড়ন্তের প্রভাব পড়েছিল। শেষ দু’দফার ভোটে যা বিজেপির পারফরম্যান্সকে নিচে নামিয়েছে। তাছাড়া বাম ভোটের তৃণমূলের দিকে যাওয়াকেও এই হারের কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বন্ধ লোকাল ট্রেন, যাত্রী হয়রানি কমাতে বাস, লঞ্চের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর]
বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, চারটি জেলায় বিজেপি একটি আসনও না পাওয়া এবং মতুয়া সমর্থন হারানোর কথাকেও। বলা হয়েছে, জঙ্গলমহল এলাকার ৫১টি সিটের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৭টি সিট। এতে প্রমাণিত বিজেপির পক্ষে তফসিলি জাতি—উপজাতি সমর্থন আসেনি। এমনকী, মতুয়া সম্প্রদায়েরও পুরো সমর্থন এবার বিজেপি পায়নি। জলপাইগুড়ি অঞ্চলে বিজেপি ভাল ফল করেছে। যেখানে তারা ২৭টি সিটের মধ্যে ২১টি সিট পেয়েছে। এসবের মধ্যেই ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় এবার মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির সহ—সভাপতি রাজকমল পাঠক। তাঁর মতে, ভোট পরিচালনা থেকে দলের পুরনো নেতাদের দূরে সরিয়ে রাখা পরাজয়ের অন্যতম কারণ।