সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা শেষে পালটা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেন। ফ্রন্টলাইনে শুরু হয়েছে প্রবল লড়াই। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিন পুতিন জানান, বহুদিন ধরেই এই ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পালটা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইউক্রেন। ফ্রন্টজুড়ে এবার সেই অভিযান শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ প্রেসিডেন্টের অবশ্য দাবি, লড়াইয়ের ময়দানে বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না ইউক্রেনীয় ফৌজ। যুদ্ধে তাদের প্রচুর জওয়ান হতাহত হয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মুখে যাই বলুন না কেন, ময়দানের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পুতিন। বিশেষ করে, ইউক্রেনে মার্কিন ও পশ্চিমের অস্ত্র আসা অব্যাহত থাকায় তাঁর মাথা ব্যথা বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বাথরুমে মার্কিন পরমাণু ভাণ্ডারের গোপন নথি, মিলল যুদ্ধের নীল নকশাও!]
প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। মাত্রাছাড়া ক্ষয়ক্ষতি হলেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় কোন পক্ষই। পড়শি দেশে ‘ব্লিৎসক্রেগ’ ব্যর্থ হওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল খাস রুশ জমিতে বহুতলে আছড়ে পড়ে একটি ড্রোন। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি কিয়েভের নিশানায় রুশ নাগরিক পরিকাঠামো?
সম্প্রতি, ইউক্রেনের একটি বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে। যদিও মস্কো অভিযোগের আঙুল তুলছে কিয়েভের দিকে। রাশিয়ার দখলে থাকা দক্ষিণ ইউক্রেনের নোভা কাখোভকা শহরের এই বাঁধটি সোভিয়েত আমলের। ১৯৫৬ সালে তৈরি। ৩০ মিটার উঁচু, ৩.২ কিমি লম্বা ও ১৮ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঁধটি ভেঙে পড়াতে আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বন্যায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের বহু অংশই জলমগ্ন।