সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের কাছে অশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি করতে চায় রাশিয়া (Russia)। এই মর্মে ঢাকার কাছে প্রস্তাবও পেশ করেছে মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
[আরও পড়ুন: করোনার পর নয়া আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স, বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্তে জারি সতর্কতা]
এদিন রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ খাতে সাইবার নিরাপত্তা-নীতি এবং অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নসরুল হামিদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাংলাদেশের কাছে অশোধিত তেল বিক্রি করতে চায় রাশিয়া। বলে রাখা ভাল, গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে দাম বাড়ানো হয়। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সরকার। জ্বালানি মন্ত্রক জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে জালানি তেলের দাম বাড়ছে। এ কারণে প্রতিবেশী দেশ-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে জ্বালানি তেলের দামে হেরফের হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) জেরে রাশিয়ার (Russia) উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতেও মস্কোর থেকেই তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত ও চিন। রাশিয়ার থেকে যতটা সম্ভব সস্তায় তেল কেনার চেষ্টা করছে ভারত। এবার বাংলাদেশকেও তেলের দামে আকর্ষণীয় ছাড় দিতে পারে রাশিয়া বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ শুরু করেছে আমেরিকা ও ইউরোপ। ফলে বিদেশে সঞ্চিত প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের মুদ্রাভাণ্ডারে হাত দিতে পারছে না মস্কো। একইসঙ্গে, রাশিয়ার ব্যাংকগুলিকে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই, জ্বালানির দাম রুবলে মেটানোর দাবি জানিয়ে আসছে পুতিন প্রশাসন। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে বেকায়দায় ফেলতে জেলেনস্কি সরকারকে অস্ত্র দিচ্ছে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস। পালটা জীবাশ্ম জ্বালানিকে হাতিয়ার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এতে ফলও মিলতে শুরু করেছে। এবার পুতিনের দাবি মেনে রুশ তেল কেনার জন্য একপ্রকার বাধ্য হয়ে গ্যাজপ্রম ব্যাংকে রুবল অ্যাকউন্ট খুলেছে দশটি ইউরোপীয় সংস্থা।